ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাতিল হলো সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু হাই- টেক পার্ক  প্রকল্প

সিলেট প্রতিনিধি :
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাতিল হলো সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু হাই- টেক পার্ক  প্রকল্প। অন্তরর্বতী সরকার সিলেট সহ চার জেলাকে এই আইটি প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পের জন্য ভারতের ঋণ না পাওয়া ও প্রকল্পের অগ্রগতি কম হওয়ায় এই চার জেলাকে বাদ দেওয়া হবে। কিন্তু তৎকালীন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের জুন মাসে ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই- টেক পার্ক প্রকল্পটির পুরো কাজ শেষ হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে,যদি প্রকল্পের কাজ শেষই হয়ে থাকে, তা হলে কেন বাতিলের তালিকায় এল হাই- টেক পার্কের নাম।


দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা জাগাতে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে নির্মিত হয়েছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই- টেক পার্ক। ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি এলাকায় ১৬৩ একর জায়গায় এই পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। হাই-টেক পার্কটির আইটি বিজনেস সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন কওে ছিলেন তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
তৎকালীন হাই- টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের জুন মাসে ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক প্রকল্পটির পুরো কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে পার্কের সম্পূর্ণ ভূমি বরাদ্দ হয়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও ১০০ একর নতুন জমির অনুমোদনও দেওয়া হয়। এই পার্কে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সেতু। সেতু পেরোনোর পরেই ডান ও বাম দিকে নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য নির্ধারিত জায়গা।
পার্কটিতে রয়েছে, প্রশাসনিক ভবন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন, সীমানা প্রাচীর, প্রধান ফটক, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, আরসিসি সেতু, গ্যাস লাইন ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা। এ ছাড়া রয়েছে ডিপটিউবওয়েল, পানি সাপ্লাই ও পানির পাম্প, বিদ্যুৎ ভবন, সাবস্টেশন ও ইলেকট্রিক লাইন। আছে ১০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার সাবস্টেশন, আনসার ব্যারাক এবং কাঁটাতারের বেড়া।

সিলেট প্রতিনিধি :
হাই-টেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া বলে ছিলেন, ‘ইতোমধ্যে হাই- টেক পার্কের পুরো জায়গা বিনিয়োগকারীতে পরিপূর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ৩২ একর জায়গা, হেলথ ল্যান্ডমার্ক হোল্ডিং লিমিটেড দেড় একর, রহমানিয়া সুপার মার্কেট ১ দশমিক ৭৫৯ একর, টুগেদার আইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১ একর, ইএলবি কোম্পানি ১ একর, ইনোটেক হোল্ডিং লিমিটেড ৩ দশমিক ৪২ একর, আইরিশ ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ১ একর জমিতে বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়াও তৈরি করা ভবনেও বিনিয়োগ করেছে আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি। তথ্য ও প্রযুক্তি খাত বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে এই পার্কটিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাতিল হলো সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু হাই- টেক পার্ক  প্রকল্প

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

বাতিল হলো সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু হাই- টেক পার্ক  প্রকল্প। অন্তরর্বতী সরকার সিলেট সহ চার জেলাকে এই আইটি প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রকল্পের জন্য ভারতের ঋণ না পাওয়া ও প্রকল্পের অগ্রগতি কম হওয়ায় এই চার জেলাকে বাদ দেওয়া হবে। কিন্তু তৎকালীন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের জুন মাসে ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই- টেক পার্ক প্রকল্পটির পুরো কাজ শেষ হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে,যদি প্রকল্পের কাজ শেষই হয়ে থাকে, তা হলে কেন বাতিলের তালিকায় এল হাই- টেক পার্কের নাম।


দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা জাগাতে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলে নির্মিত হয়েছিল ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই- টেক পার্ক। ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্ণি এলাকায় ১৬৩ একর জায়গায় এই পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হয়। হাই-টেক পার্কটির আইটি বিজনেস সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন কওে ছিলেন তৎকালীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
তৎকালীন হাই- টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের জুন মাসে ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক প্রকল্পটির পুরো কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে পার্কের সম্পূর্ণ ভূমি বরাদ্দ হয়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও ১০০ একর নতুন জমির অনুমোদনও দেওয়া হয়। এই পার্কে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সেতু। সেতু পেরোনোর পরেই ডান ও বাম দিকে নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য নির্ধারিত জায়গা।
পার্কটিতে রয়েছে, প্রশাসনিক ভবন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন, সীমানা প্রাচীর, প্রধান ফটক, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, আরসিসি সেতু, গ্যাস লাইন ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা। এ ছাড়া রয়েছে ডিপটিউবওয়েল, পানি সাপ্লাই ও পানির পাম্প, বিদ্যুৎ ভবন, সাবস্টেশন ও ইলেকট্রিক লাইন। আছে ১০ এমভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার সাবস্টেশন, আনসার ব্যারাক এবং কাঁটাতারের বেড়া।

সিলেট প্রতিনিধি :
হাই-টেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া বলে ছিলেন, ‘ইতোমধ্যে হাই- টেক পার্কের পুরো জায়গা বিনিয়োগকারীতে পরিপূর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ৩২ একর জায়গা, হেলথ ল্যান্ডমার্ক হোল্ডিং লিমিটেড দেড় একর, রহমানিয়া সুপার মার্কেট ১ দশমিক ৭৫৯ একর, টুগেদার আইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১ একর, ইএলবি কোম্পানি ১ একর, ইনোটেক হোল্ডিং লিমিটেড ৩ দশমিক ৪২ একর, আইরিশ ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ১ একর জমিতে বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়াও তৈরি করা ভবনেও বিনিয়োগ করেছে আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি। তথ্য ও প্রযুক্তি খাত বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে এই পার্কটিতে।