বাসে পরিচয় থেকে সাবলেট, টাকার সাথে নারী নিয়ে গেলো শিশুকেও
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০৭:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর আজিমপুরের মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের পাশের একটি বাসায় চুরি শেষে ৮ মাস বয়সী কন্যাশিশুকে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে ফারজানা আক্তারের সাথে বাসে পরিচয় হয় ওই নারীর। এর পর বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে ওই নারী সাবলেট হিসেবে উঠেছিলেন ওই বাসায়। সকালে ওই নারীর কাছে আসা কয়েকজন ব্যক্তি বাসা থেকে বিভিন্ন মালামালের সাথে ৮ মাসের শিশুকে নিয়ে যায় তারা। বাসার তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ইসরাফিল এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে বাসার মালিক ফারাজানা আক্তার এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
এর আগে লালবাগ থানা-পুলিশ জানিয়েছিল, সকালে একদল লোক ওই বাসায় এসে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার পাশাপাশি শিশুসন্তানকে অপহরণ করে নিয়ে যান।
বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ইসরাফিল বলেন, আবু জাফর ও ফারজানা আক্তার দম্পতি বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তবে প্রায় ৫ মাস আগে থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যকে কেন্দ্র করে স্বামী আবু জাফর ওই বাসা ছেড়ে যান। এর পর থেকেই আবু জাফর আর বাসায় থাকতেন না। ফারজানা আক্তার, তার শিশুকন্যা এবং ওকে দেখাশোনার জন্য শিশুর নানি বাসায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফারজানা আক্তার এক নারীকে নিয়ে বাসায় ফেরেন। তাকে জানানো হয়, মেয়েটি তার সঙ্গে ‘সাবলেট’ থাকবেন। শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে বাচ্চাটির নানি বাসা থেকে চলে যান। কোথায় গেছেন তিনি জানেন না। পরে সাড়ে আটটার দিকে কয়েকজন বাসায় হাতে বাজার নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি এই ঘটনা শুনতে পান।
জানা গেছে, আজিমপুরের মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের পাশে পিলখানা এলাকার লালবাগ টাওয়ার পেছনের দিকে বাড়িটিতে শিশুসন্তান ও নিজের মাকে নিয়ে থাকতেন ফারজানা আক্তার। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন বলে তার এক পরিচিতজন জানান।
মোহাম্মদ ইসরাফিল ওই বাসায় প্রায় দুই বছর ধরে তত্ত্বাবধায়কের কাজ করেন। তিনি বলেন, বাসার ভেতরে আলমারি, ওয়ার্ডরোবসহ কিছু আসবাব খোলা দেখতে পেয়েছেন। তবে কী কী নিয়ে গেছে তা তিনি জানেন না। থানা-পুলিশ যখন ফারজানার কাছে সাবলেট হিসেবে ওঠা ওই নারীর মোবাইল নম্বর চেয়েছেন, তখন ফারাজানাকে বলতে শুনেছেন, তার মোবাইলও নিয়ে গেছেন। ঘটনার পরে ফারজানার স্বামী আবু জাফরকে ওই বাসায় আসতে দেখেছেন বলেও জানান ইসরাফিল।
ফারজানা আক্তারের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করে। তবে বাসার দরজা খোলা হয়নি। ভেতর থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, এ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কোনো কথা বলবেন না।