নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে নিহত শিক্ষার্থীসহ ৮৬
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
ছাত্রলীগ-কে ণিষিদ্ধ করে গত ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়। নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির নেতাকর্মীদের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ৮৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ধর্ষিত হয়েছে ১৪ জন। যৌন নিপীড়নের মতো ঘটনা ঘটেছে ৬৯ জনের সাথে। গত ১৫ বছরে এক হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে।
নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৩টি চাঁদাবাজি, ৩৯টি টেন্ডারবাজি এবং ৩০টি ছিনতাইয়ের অভিযোগ। নিজেদের দলীয় কোন্দলে প্রাণ হারিয়েছে ৪৭ জন।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় নকল জালিয়াতি ও ভুয়া বাণিজ্যের মতো অপরাধ্মূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিল সংগঠনটি। গত ১৫ বছরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ৩৭টি ঘটনা ঘটে। যার সবগুলোর সাথেই ছাত্রলীগ জড়িত ছিল।
শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’-এর আয়োজনে ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে এমন তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা।
সেমিনারে ‘ছাত্র রাজনীতির অন্ধকারের এক যুগ’ বিষয়ক গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিহত হয় ৫১ জন। বিভিন্ন পর্যায়ে ৮৬ জন নিহত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষাঙ্গন নিরাপদ না হলে পুরো দেশটাই অনিরাপদ হয়ে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রলীগ অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছিল। এ জন্যই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, আর যেন কোথাও ছাত্রলীগ তৈরি হতে না পারে সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। সুষ্ঠু একটি দেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সময় নতুন করে রাষ্ট্র মেরামত করতে হলে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস দূর করত হবে।