নির্বাচন আদায়ে আন্দোলনে নামছে বিএনপি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের দাবিতে আগামী মার্চ-এপ্রিলে আন্দোলনে নামছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। অন্তর্বতীকালীন সরকারের মেয়াদ তিনমাস পেরিয়ে গেলেও সংসদ নির্বাচন নিয়ে ‘নির্দিষ্ট তারিখ ও রোডম্যাপ’- এর কোন ধরণের ঘোষণা না আসায় আশাহত বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টার সাথে কয়েক দফা বৈঠক কজরেও কোন সাড়া না পেয়ে দলটি কিছুটা সন্দেহও পোষণ করছে সরকারের প্রতি। তাই এবার নির্বাচন আদায়ে আন্দোলন নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এ তথ্য বিএনপির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়, সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ভার্চুয়ালি অংশ নেন। দলের সর্বোচ্চ এ ফোরামে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইবেন। সেটি নাহলে মার্চ-এপ্রিলের দিকে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা দলটির। তবে দলের দুই-একজন সদস্য আরো একটু ধীরে চলা নীতিতে এগোনোর পক্ষেও মতামত দিয়েছে।
বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, সরকার প্রথমদিকে যেভাবে বিএনপির কথা শুনতো তা দিনেদিনে কম শোনার প্রবণতার দিকে যাচ্ছে, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি গঠনের আগেও বিএনপিকে জানায়নি। এছাড়া সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার কথায় মনে হচ্ছে, তারা বিএনপির বিপরীতে আরেকটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের জন্য নির্বাচনে কালক্ষেপণ করছেন।
গত কয়েক মাস বিএনপির কর্মসূচি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মাসে বিএনপিকে যেমন নির্ভার মেজাজে দেখা গেছে- তা কিছুটা কম দেখা গেছে গত দুই মাসে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর যুগপৎ আন্দোলনের জোট শরীকদের সাথে কিছুটা যোগাযোগ কমিয়ে দিলেও এখন আবার তা জোরদার করেছে। দফায় দফায় মিটিং করছে ছোট দলগুলোর সঙ্গে। ইতোমধ্যে ছোট দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ১৮ জনকে বিভিন্ন আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে আগাম মনোনয়ন দিয়ে সাথে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।
এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও সালাহ উদ্দিন আহমেদও স¤প্রতি জামায়াতে ইসলামির দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে দুই দলের একসাথে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও উভয় দলের নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। এসব কিছু মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে বিএনপি সবাইকে নিয়ে নির্বাচন আদায়ে মাঠে থাকতে চাইছে, এবং কোনমতেই জোটছুট হতে চাচ্ছে না এ পরিস্থিতিতে।
গত সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলামগীর বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় বিরাজনীতিকরণে এবং মাইনাস-টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের ব্যর্থ চেষ্টা হয়েছিল। সেই পথ অনুসরণ করার কথা চিন্তাও করা উচিত নয়। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নানাভাবে ভাঙার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে অস্থির। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।