ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে ডিসেম্বরে বাজারজাত হবে নতুন আলু

আজিজুল বুলু, নীলফামারী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ ৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামজাতের আলু চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারী’র কৃষকরা।এসব আগামজাতের আলু জমিতে রোপন করা হয়েছে অক্টোম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে।এখন পুরোদমে চলছে আলু ক্ষেত পরির্চ্চার কাজ।আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে জমি থেকে আলু উত্তোলন ও বাজারজাতের আশা করছেন তারা।


সরেজমি ঘুরে জানা গেছে,এ জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের আলু চাষী আকবার আলী জানান,গেল বছর দু’বিঘা জমিতে আলু চাষ করে উৎপাদন ও দাম ভাল পাওয়ায় এবার ৪ বিঘাজমিতে আগামজাতের আলু আবাদ করেছি।তবে গত বারের চেয়ে এবার কৃষিশ্রমিক থেকে শুরু করে বীজ,বিভিন্ন প্রকার জৈব ও রাসয়ানিক সারসহ কিটনাশকের দাম গেল বারের চেয়ে আনুপাতিক হারে তুলনামুলক বেশী।


ডিমলা উপজেলার টুনিরহাট এলাকার কৃষক আব্দুল কাইয়ুম জানান, এবার আলু আবাদে জমি প্রস্তুত করতে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে, আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা।আলু বীজ প্রতিকেজি খরিদ করা হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। তারপরও গেল বারের চেয়ে এবার আগামজাতের আলু চাষাবাদ হয়েছে দেড়গুন বেশী জমিতে।হাট-বাজারে আলু দাম ভাল থাকায় কৃষকরা আলু চাষে ঝুকে পড়েছেন লাভের আশায়।


একই উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের আবুজার রহমান জানান,এবার তিনি ১০ বিঘা জমিতে আগামজাতের সেভেন আলু রোপন করেছেন।অনুকুল আবহাওয়া আর রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব না থাকলে আশানুরুপ ফলন ও ভালদাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন জানান, আলু চাষীরা সেপ্টেম্বর মাসের দি¦তীয় সপ্তাহের পর থেকে জমিতে আগামজাতের আলু বীজ রোপনের কাজ শুরু করেন।জমিতে আলু বীজ রোপনের ৬০ থেকে ৭০ দিন পর জমি থেকে আলু উত্তোলন করে বাজারজাতে ভাল দাম পাওয়ায় আগামজাতের আলু চাষে আগ্রহী কৃষকরা। আগামজাতের আলু ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে উত্তোল ও বাজারজাত শুরু হবে বলে আশা করছেন তিনি।এছাড়াও আলু উত্তোলন করে কম খরচে গম-ভৃট্ট্র-শাকসবজী চাষাবাদ করে লাভবান হন তারা।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলে জমিতে আলু রোপনের কাজ শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ থেকে আগামী জানুয়ারী ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলে।এবার নীলফামারী জেলায় আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমি।তবে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন জমিতে আলু চাষাবাদে ঝুকে পড়েছেন কৃষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নীলফামারীতে ডিসেম্বরে বাজারজাত হবে নতুন আলু

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

আগামজাতের আলু চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারী’র কৃষকরা।এসব আগামজাতের আলু জমিতে রোপন করা হয়েছে অক্টোম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে।এখন পুরোদমে চলছে আলু ক্ষেত পরির্চ্চার কাজ।আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে জমি থেকে আলু উত্তোলন ও বাজারজাতের আশা করছেন তারা।


সরেজমি ঘুরে জানা গেছে,এ জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের আলু চাষী আকবার আলী জানান,গেল বছর দু’বিঘা জমিতে আলু চাষ করে উৎপাদন ও দাম ভাল পাওয়ায় এবার ৪ বিঘাজমিতে আগামজাতের আলু আবাদ করেছি।তবে গত বারের চেয়ে এবার কৃষিশ্রমিক থেকে শুরু করে বীজ,বিভিন্ন প্রকার জৈব ও রাসয়ানিক সারসহ কিটনাশকের দাম গেল বারের চেয়ে আনুপাতিক হারে তুলনামুলক বেশী।


ডিমলা উপজেলার টুনিরহাট এলাকার কৃষক আব্দুল কাইয়ুম জানান, এবার আলু আবাদে জমি প্রস্তুত করতে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে, আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা।আলু বীজ প্রতিকেজি খরিদ করা হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে। তারপরও গেল বারের চেয়ে এবার আগামজাতের আলু চাষাবাদ হয়েছে দেড়গুন বেশী জমিতে।হাট-বাজারে আলু দাম ভাল থাকায় কৃষকরা আলু চাষে ঝুকে পড়েছেন লাভের আশায়।


একই উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের আবুজার রহমান জানান,এবার তিনি ১০ বিঘা জমিতে আগামজাতের সেভেন আলু রোপন করেছেন।অনুকুল আবহাওয়া আর রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব না থাকলে আশানুরুপ ফলন ও ভালদাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি।

নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের কৃষক আফজাল হোসেন জানান, আলু চাষীরা সেপ্টেম্বর মাসের দি¦তীয় সপ্তাহের পর থেকে জমিতে আগামজাতের আলু বীজ রোপনের কাজ শুরু করেন।জমিতে আলু বীজ রোপনের ৬০ থেকে ৭০ দিন পর জমি থেকে আলু উত্তোলন করে বাজারজাতে ভাল দাম পাওয়ায় আগামজাতের আলু চাষে আগ্রহী কৃষকরা। আগামজাতের আলু ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে উত্তোল ও বাজারজাত শুরু হবে বলে আশা করছেন তিনি।এছাড়াও আলু উত্তোলন করে কম খরচে গম-ভৃট্ট্র-শাকসবজী চাষাবাদ করে লাভবান হন তারা।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলে জমিতে আলু রোপনের কাজ শুরু হয় সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ থেকে আগামী জানুয়ারী ১৫ তারিখ পর্যন্ত চলে।এবার নীলফামারী জেলায় আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমি।তবে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুন জমিতে আলু চাষাবাদে ঝুকে পড়েছেন কৃষকরা।