শিক্ষার্থীদের এইচপিভি টিকা গ্রহীতা ৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ, বিভাগীয় তদন্ত দাবী
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের এইচপিভি টিকা নেওয়ার পর ২০ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নেয়ার পর ফের ৫ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের নুরুল সরকার প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৮১ জন শিক্ষার্থীকে এইচপিভি টিকা দিলে ২০ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর পরে আজ দুপুরে ফুলপুকুরিয়া বিদ্যালয়ের ৫ জনের টিকা নেওয়ার আধা ঘন্টা পর তাদের পেট ব্যথা,হাত-পা ঝিনঝিন ও শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। পরে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে,তাদের শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জাহেদ জাফরিন জিতি বলেন, এরা কেউ অসুস্থ হয়নি,এরা আতংক গ্রস্থ হয়েছে। এরা না খেয়ে বাড়ী থেকে এসেছে বলে ওদের সমস্যা হয়েছে, যেহেতু এই টিকা অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্রহন করছে,সব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়নি,দুটি বিদ্যালয়ের ২৫জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে,তাদের টিকা নেয়ার নিয়ম কানুনের ব্যর্তয় ঘটেছে কি, না? বা অন্য কোন সমস্যা হয়েছে,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই টিকা নেয়ার যে নিয়ম, অন্যান্য ওষুধ গ্রহনের একই নিয়ম,আমরা নিয়ম কানুন অনেক প্রচার করেছি। আমরা ইন্টারন্যাল তদন্ত করছি। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা এ বিষয়ে জানান, আমি উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মাধ্যমে জেনেছি, যেসব শিক্ষার্থী না খেয়ে ছিল,তাদের সমস্যা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে বলেন, আর জানতে পারবেন।
সচেতন মহল বলছেন,টিকা প্রহনে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়ার ঘটনায়, লুকোচুরি নয়,বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
এদিকে জেলা প্রশাসকের পেজের একটি পোষ্টে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার, পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছেন, “জরায়ুমুখের ক্যান্সারের টিকা দিয়ে আতংকগ্রস্ত হয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত বাচ্চারা সবাই সুস্থ আছে। সকালে না খেয়ে এসে টিকা দিয়ে দুর্বল লাগার পর আতংকগ্রস্ত হয়ে জোরে জোরে নি:শ্বাস নিয়ে ( Hyperventilation) তারা কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো। এটা কোনভাবেই জরায়ুমুখের ক্যান্সারের টিকার কারণে নয়। ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের জন্য বিনামূল্যে দেয়া এ টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও গবেষণা অনুযায়ী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। আপনার কিশোরীকে ১ ডোজ HPV টিকা দিন, জরায়ুমুখের ক্যান্সার রুখে দিন। গুজবে কান দেবেন না।”