পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের নামে কোটি মানুষকে কর্মহীন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:০০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের নামে দেশের কোটি মানুষকে কর্মহীন করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুরান ঢাকার ছাত্রসহ সর্বস্তরের নাগরিকরা। তাদের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে কোটি মানুষ কর্মহীন করতে চায়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে এভাবে অসংখ্য মানুষকে কর্মহীন করা ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন।
রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরান ঢাকা চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রায় সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ছাত্র-জনতার পক্ষের বক্তব্যে মুহম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, সারা বিশ্বে এমনকিও উন্নত দেশগুলোতেও পলিথিনের বহুল ব্যবহার আছে। তারা পলিথিন নিষিদ্ধ করেনি, বরং ব্যবহৃত পলিথিন যেন রিসাইক্লিং করা যায় তার সু-ব্যবস্থা করেছে। সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবহৃত পলিথিনকে পরিবেশে ক্ষতিকারক না বানিয়ে সম্পদ বানিয়ে ফেলতে পারে। সরকারের উচিত, তাই পলিথিন নিষিদ্ধ না করে, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা তৈরী করা এবং পলিথিনের রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে অগ্রসর হওয়া, এতে পরিবেশের ক্ষতি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি, ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধের আইন বাতিল করে পলিথিনের গুনগত মান কিভাবে উন্নত করা যায় এবং পরিবেশগত ক্ষমিয়ে আনা যায়, সেদিকেও সরকারের খেয়াল দেয়া উচিত।
মুহম্মদ মোস্তাক বলেন, কোন একটি শিল্পকে বন্ধ করতে হলে অবশ্যই ঐ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষের বিকল্প রুটি-রুজির ব্যবস্থা করার প্রয়োজন। কিন্তু সেটা না করে এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে পরিবারসহ পথে বসিয়ে দেয়া কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
মুহম্মদ সাদমান সাকিব বলেন, পলিথিনের ব্যবহার এখন সর্বত্র। চিকিতসা ক্ষেত্রে স্যালাইন থেকে শুরু করে অনেক ঔষধ প্যাকেট হয় পলিথিন দিয়ে। ফলমূল, কাচা বাজার পরিবহণে পলিথিনের বিকল্প এখনও তৈরী হয়নি। আমরা সাধারণ মানুষ ফ্রিজে যে মাছ-গোশত রাখি সেখানেও পলিথিনের ব্যবহার আছে। সেই পলিথিন নিষিদ্ধ করলে আমরা সাধারণ মানুষ মারাত্মক সংকটে পড়বো। পাটের ব্যাগকে পলিথিনের বিকল্প বলা হলেও বাস্তবতা পাটের ব্যাগ উচ্চমূল্যের এবং এখনো সহজলভল্য নয়। তাই পাটের ব্যগকে কখনই পলিথিনের বিকল্প বলা যায় না।
মুহম্মদ রিদওয়ান বলেন, জনগণের পেটে ভাত না থাকলে তারা পরিবেশ দিয়ে কী করবে? পরিবেশ উপদেষ্টা এত পরিবেশ পরিবেশ করেন, তার তো উচিত আগে নিজ অফিস ও গাড়িতে এসির ব্যবহার বন্ধ করা। কারণ এসিতে যে সিএফসি গ্যাস থাকে, তা পরিবেশের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। অন্যকে পরিবেশ নিয়ে জ্ঞান দেয়ার আগে উনার উচিত নিজকে পরিবেশ নিয়ে সচেতন হওয়া।