ঢাকা ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোন দেশ কাকে চায়?

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কেবল দেশটির জন্য নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই নজর থাকে শত্রু-মিত্র সবার। পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করতে চীন-রাশিয়া-ইরানের মতো দেশগুলোর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগও ওঠে কখনো কখনো। কমালা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প? মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবার কাকে চায় কোন দেশ?

বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে ডেমোক্র্যাটদের বর্তমান শাসনামলে দুই মেরুতে পৌঁছেছে দুই দেশের সম্পর্ক। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালেও এতটা শীতল ছিলো না মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্ক।

এমনকি, ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুসম্পর্ক নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা তাই মনে করছেন, ট্রাম্পকেই ওভাল অফিসে দেখতে চান রুশ প্রেসিডেন্ট।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইস্যুতে ইরানের অবস্থান আবার সম্পূর্ণ বিপরীত। আলোচিত আইআরজিসি কমান্ডার কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার জেরে ট্রাম্পকে রীতিমতো শত্রু ঘোষণা করেছে ইরান। এবারের নির্বাচনেও ট্রাম্পবিরোধী প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে দেশটির বিরুদ্ধে।

রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট-ক্ষমতায় যে দলই থাকুক, দুই দলেরই রয়েছে কঠোর চীন বিরোধী নীতি। ক্ষমতায় এসে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপ করে চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট বদল হলেও বাইডেন প্রশাসনও সরে আসেননি ট্রাম্পের নীতি থেকে। যদিও, সম্প্রতি এক ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, শি জিন পিংয়ের সাথে বেশ সুসম্পর্ক রয়েছে তার।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ট্রাম্পেরই বেশি। নিজেকে তেলআবিবের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন নিজেই। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। গাজায় আগ্রাসন ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের অকুণ্ঠ সমর্থনের পরও বলা হচ্ছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে অখুশি হবেন না নেতানিয়াহু।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুসম্পর্কের নজির রয়েছে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে দিল্লি সফরেও এসেছিলেন রিপাবলিকান এই নেতা। অন্যদিকে, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সবার আগে যে ক’জন বিশ্বনেতা অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে শুরুর দিকেই রয়েছে মোদির নাম। যদিও, শিখ নেতা হত্যা চেষ্টা ইস্যুতে সম্প্রতি ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তৈরি হয়েছে টানাপোড়েন।

ইউরোপীয় নেতাদের বেশিরভাগই অবশ্য ক্ষমতায় দেখতে চান হ্যারিসকেই। বেশ কয়েকবারই ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এছাড়াও আরও নানা ইস্যুতে রিপাবলিকান প্রার্থীর সাথে মতবিরোধ রয়েছে ইউরোপীয় নেতাদের।

প্রেসিডেন্ট পদে ফিরলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানকে দেয়া সামরিক সহায়তায় লাগাম টানতে পারেন ট্রাম্প- এমন ধারণা অনেক বিশ্লেষকের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোন দেশ কাকে চায়?

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩২:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

কেবল দেশটির জন্য নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই নজর থাকে শত্রু-মিত্র সবার। পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করতে চীন-রাশিয়া-ইরানের মতো দেশগুলোর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিযোগও ওঠে কখনো কখনো। কমালা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প? মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এবার কাকে চায় কোন দেশ?

বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে ডেমোক্র্যাটদের বর্তমান শাসনামলে দুই মেরুতে পৌঁছেছে দুই দেশের সম্পর্ক। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালেও এতটা শীতল ছিলো না মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্ক।

এমনকি, ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুসম্পর্ক নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা তাই মনে করছেন, ট্রাম্পকেই ওভাল অফিসে দেখতে চান রুশ প্রেসিডেন্ট।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইস্যুতে ইরানের অবস্থান আবার সম্পূর্ণ বিপরীত। আলোচিত আইআরজিসি কমান্ডার কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার জেরে ট্রাম্পকে রীতিমতো শত্রু ঘোষণা করেছে ইরান। এবারের নির্বাচনেও ট্রাম্পবিরোধী প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে দেশটির বিরুদ্ধে।

রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট-ক্ষমতায় যে দলই থাকুক, দুই দলেরই রয়েছে কঠোর চীন বিরোধী নীতি। ক্ষমতায় এসে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপ করে চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট বদল হলেও বাইডেন প্রশাসনও সরে আসেননি ট্রাম্পের নীতি থেকে। যদিও, সম্প্রতি এক ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, শি জিন পিংয়ের সাথে বেশ সুসম্পর্ক রয়েছে তার।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন ট্রাম্পেরই বেশি। নিজেকে তেলআবিবের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন নিজেই। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবেও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। গাজায় আগ্রাসন ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনের অকুণ্ঠ সমর্থনের পরও বলা হচ্ছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে অখুশি হবেন না নেতানিয়াহু।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুসম্পর্কের নজির রয়েছে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে দিল্লি সফরেও এসেছিলেন রিপাবলিকান এই নেতা। অন্যদিকে, বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সবার আগে যে ক’জন বিশ্বনেতা অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে শুরুর দিকেই রয়েছে মোদির নাম। যদিও, শিখ নেতা হত্যা চেষ্টা ইস্যুতে সম্প্রতি ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তৈরি হয়েছে টানাপোড়েন।

ইউরোপীয় নেতাদের বেশিরভাগই অবশ্য ক্ষমতায় দেখতে চান হ্যারিসকেই। বেশ কয়েকবারই ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এছাড়াও আরও নানা ইস্যুতে রিপাবলিকান প্রার্থীর সাথে মতবিরোধ রয়েছে ইউরোপীয় নেতাদের।

প্রেসিডেন্ট পদে ফিরলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানকে দেয়া সামরিক সহায়তায় লাগাম টানতে পারেন ট্রাম্প- এমন ধারণা অনেক বিশ্লেষকের।