ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণহত্যায় উস্কানি: ২৮ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার পক্ষে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে উস্কানি দিয়েছে এমন ২৮ সাংবাদিকের তালিকা করেছে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উপসচিব মো. মাসুদ খাঁন স্বাক্ষরিত তালিকায় এসব সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করা হয়।

তালিকায় যেসব সাংবাদিকের নাম রয়েছে তারা হলো- বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিবিসি নিউজের হেড অব নিউজ জায়েদুল হাসান পিন্টু, এবিএন নিউজ টুয়েন্টিফোরের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী, এটিএন নিউজের জ. ই. মামুন, বাংলা ইনসাইডারের সৈয়দ বোরহান কবীর, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ও নয়াদিল্লীর সাবেক প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর মির্জা মেহেদী তমাল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের চিফ রিপোর্টার জুলকারনাইন রনো, দৈনিক সমকালের সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাসসের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মধু সুদন মন্ডল, ডিবিসি নিউজের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ আইয়ুব কার্জন, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সাংবাদিক ফরাজী আজমল হোসেন, বৈশাখী টেলিভিশনের সাবেক হেড অব নিউজ অশোক চৌধুরী, ইডি’র এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা, ডেইলী সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, নিউজ টুয়েন্টিফোরের ডেপুটি চিফ নিউজ এডিটর ও হেড অব ডিজিটাল আশিকুর রহমান শ্রাবণ।

যুগান্তরের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন, ডিবিসি নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত, এটিএন নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি তাওহিদুল ইসলাম সৌরভ, যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক শ্যামল সরকার, দৈনিক ইত্তেফাকের নগর সম্পাদক আবুল খায়ের, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা।

এসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গত ১৫ বছর আওয়ামী সরকারের দালাল হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। তারা সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন।

সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব সাংবাদিক গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোটাবিরোধী আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলকালীন সাংবাদিকতার ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা না করে এসব সাংবাদিক দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমকে আন্দোলনরত দেশের ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে অপপ্রচারের লিপ্ত ছিলেন। তারা সরকারের গণহত্যাকে বৈধতা দেয়ার জন্য প্রচারণাও চালান।

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়েছেন, তারা সাংবাদিক হতে পারেন না। আন্দোলনে গুলি চালাতে যারা টকশোতে বক্তব্য দিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের উপহাস করেছেন তারা সাংবাদিক নন। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গণহত্যায় উস্কানি: ২৮ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার পক্ষে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে উস্কানি দিয়েছে এমন ২৮ সাংবাদিকের তালিকা করেছে সরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উপসচিব মো. মাসুদ খাঁন স্বাক্ষরিত তালিকায় এসব সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ করা হয়।

তালিকায় যেসব সাংবাদিকের নাম রয়েছে তারা হলো- বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিবিসি নিউজের হেড অব নিউজ জায়েদুল হাসান পিন্টু, এবিএন নিউজ টুয়েন্টিফোরের সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী, এটিএন নিউজের জ. ই. মামুন, বাংলা ইনসাইডারের সৈয়দ বোরহান কবীর, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশেষ প্রতিনিধি ও নয়াদিল্লীর সাবেক প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর মির্জা মেহেদী তমাল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের চিফ রিপোর্টার জুলকারনাইন রনো, দৈনিক সমকালের সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাসসের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক মধু সুদন মন্ডল, ডিবিসি নিউজের প্রধান প্রতিবেদক মাসুদ আইয়ুব কার্জন, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সাংবাদিক ফরাজী আজমল হোসেন, বৈশাখী টেলিভিশনের সাবেক হেড অব নিউজ অশোক চৌধুরী, ইডি’র এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা, ডেইলী সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস, নিউজ টুয়েন্টিফোরের ডেপুটি চিফ নিউজ এডিটর ও হেড অব ডিজিটাল আশিকুর রহমান শ্রাবণ।

যুগান্তরের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন, ডিবিসি নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত, এটিএন নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি তাওহিদুল ইসলাম সৌরভ, যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক শ্যামল সরকার, দৈনিক ইত্তেফাকের নগর সম্পাদক আবুল খায়ের, দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা।

এসব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গত ১৫ বছর আওয়ামী সরকারের দালাল হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। তারা সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন।

সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেসব সাংবাদিক গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোটাবিরোধী আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলকালীন সাংবাদিকতার ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা না করে এসব সাংবাদিক দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমকে আন্দোলনরত দেশের ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করে অপপ্রচারের লিপ্ত ছিলেন। তারা সরকারের গণহত্যাকে বৈধতা দেয়ার জন্য প্রচারণাও চালান।

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষ নিয়েছেন, তারা সাংবাদিক হতে পারেন না। আন্দোলনে গুলি চালাতে যারা টকশোতে বক্তব্য দিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের উপহাস করেছেন তারা সাংবাদিক নন। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।