ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুর্নিঝড় দানা: নীলফামারীতে আমন ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি

আজিজুল বুলু,নীলফামারী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

Oplus_0

বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘুর্নিঝড় দানার প্রভাবে অবিরাম বর্ষণ আর ঝড়ো-হাওয়ায় নীলফামারী জেলার উঠতি আমন ও আগাম শীতের শাক-সবজীর উৎপাদন পড়েছে ক্ষতির মুখে।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, ঘুর্নিঝড় দানার প্রভাবের অবিরাম বৃষ্টিপাত আর ঝড়ো-হাওয়ায় আগাম জাতের পাকা আমন ধানের ক্ষেত হেলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর জমি কেটে রাখা পাকা আমন মাটিতে ঝড়ে পড়েছে।

নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইঃখলা ইউনিয়নের কৃষক বাবু লাল জানান, চলমান বৈরী আবহাওয়া পরিবর্তন না হলে অমান ধান ও শাক-সবজীর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার অশক্ষা করছেন কৃষকরা।

ডোমার উপজেলার আব্দু রহিম জানান, ঘুর্নিঝড় দানার প্রভাবে কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাত আর ঝড়ো-হাওয়ায় আগাম, জাতের পাকা আমন ধানের গাছ মাটিতে হেলে পড়ায় প্রায় ৪০ শতাংশ ধান ঝড়ে পড়েছে। ফলে আমন ধান চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

জলঢাকা উপজেলার উপজেলার গুলমুন্ডা এলাকার কৃষক হাবিবুল্লাহ জানান. অতি বৃষ্টি আর ঝড়ো-হাওয়ায় জমিতে লাগানো ফুলকপি-বাঁধাকপি আর শাক-সবজীর ক্ষেত অবিরাম বর্ষণে জলাবদ্ধতায় অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব না এ চাষাবাদের উৎপাদন ঘরে তুলে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা এলাকার কৃষক শহিদুল জানান, আমি ৮২ টাকা কেজি দরে উন্নতমানের আলু বীজ দিয়ে ২ বিঘা জমিতে আলু রোপন করার পরদিন থেকে টানা বর্ষণে জমির অর্ধেক আলু বজি পচে গেছে। আমি আলুর আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছি।কিভাবে এ ক্ষতি পুষি নিবো।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার আমান ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমি। আর আলু ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমি। শাক-সবজী ৫ হাজার ৬০০ হাজার হেক্টর।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু এলাকায় ভাবে কিছু এলাকায় আগাম আমন ধান ও শাক-সবজী চাষাবাদে ঘুর্নিজড় দানা প্রভাব পড়েছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান বেশী নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঘুর্নিঝড় দানা: নীলফামারীতে আমন ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

ঘুর্নিঝড় দানার প্রভাবে অবিরাম বর্ষণ আর ঝড়ো-হাওয়ায় নীলফামারী জেলার উঠতি আমন ও আগাম শীতের শাক-সবজীর উৎপাদন পড়েছে ক্ষতির মুখে।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, ঘুর্নিঝড় দানার প্রভাবের অবিরাম বৃষ্টিপাত আর ঝড়ো-হাওয়ায় আগাম জাতের পাকা আমন ধানের ক্ষেত হেলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর জমি কেটে রাখা পাকা আমন মাটিতে ঝড়ে পড়েছে।

নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইঃখলা ইউনিয়নের কৃষক বাবু লাল জানান, চলমান বৈরী আবহাওয়া পরিবর্তন না হলে অমান ধান ও শাক-সবজীর উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার অশক্ষা করছেন কৃষকরা।

ডোমার উপজেলার আব্দু রহিম জানান, ঘুর্নিঝড় দানার প্রভাবে কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাত আর ঝড়ো-হাওয়ায় আগাম, জাতের পাকা আমন ধানের গাছ মাটিতে হেলে পড়ায় প্রায় ৪০ শতাংশ ধান ঝড়ে পড়েছে। ফলে আমন ধান চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

জলঢাকা উপজেলার উপজেলার গুলমুন্ডা এলাকার কৃষক হাবিবুল্লাহ জানান. অতি বৃষ্টি আর ঝড়ো-হাওয়ায় জমিতে লাগানো ফুলকপি-বাঁধাকপি আর শাক-সবজীর ক্ষেত অবিরাম বর্ষণে জলাবদ্ধতায় অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব না এ চাষাবাদের উৎপাদন ঘরে তুলে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা এলাকার কৃষক শহিদুল জানান, আমি ৮২ টাকা কেজি দরে উন্নতমানের আলু বীজ দিয়ে ২ বিঘা জমিতে আলু রোপন করার পরদিন থেকে টানা বর্ষণে জমির অর্ধেক আলু বজি পচে গেছে। আমি আলুর আবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছি।কিভাবে এ ক্ষতি পুষি নিবো।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার আমান ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমি। আর আলু ২১ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমি। শাক-সবজী ৫ হাজার ৬০০ হাজার হেক্টর।

নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু এলাকায় ভাবে কিছু এলাকায় আগাম আমন ধান ও শাক-সবজী চাষাবাদে ঘুর্নিজড় দানা প্রভাব পড়েছে। তবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান বেশী নয়।