ঢাকা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, সারি সারি নোঙর করা ট্রলার

উত্তম কুমার হাওলাদার, পটুয়াখালী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাগর ও নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য আগামী ২২ দিন মাছ ধরার উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ আইন অমান্যকারী ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। তাই শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকাল থেকেই মৎস্যবন্দর মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাটে ট্রলার নিয়ে ফিরেছেন জেলেরা। তবে অবরোধ শতভাগ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

জানা গেছে, জলবায়ুর পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে ঘন ঘন আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারনে নিয়মিত সাগরে যেতে পারেনি জেলেরা। এছাড়া এ বছর জালে ধরা পারেনি কাংখিত ইলিশ। তার উপর ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে শুরু হয়েছে সব ধরনের মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এতে অনেকটা হতাশা প্রকাশ করেছেন গভীর সমুদ্র থেকে তীরে ফিরে আশা জেলেরা।

এ নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা আড়তদারের দাদন ও এনজিওর ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার জেলেদের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিলেও সব জেলে এ চাল পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পার্শ্ববর্তী ভারতিয় জেলেরা জলসীমানায় অবাধে প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। তাই সাগরে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বাংলা টাইমসকে বলেন, অবরোধ শতভাগ সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলার নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩ শ’৫ জন জেলেকে দেওয়া হবে ২৫ কেজি করে চাল। আশা করি এই অবরোধের মধ্যেই এসব জেলেরা সরকারি বরাদ্দকৃত চাল পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, সারি সারি নোঙর করা ট্রলার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

সাগর ও নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা। ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য আগামী ২২ দিন মাছ ধরার উপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ আইন অমান্যকারী ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। তাই শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকাল থেকেই মৎস্যবন্দর মহিপুর ও আলীপুর আড়ৎ ঘাটে ট্রলার নিয়ে ফিরেছেন জেলেরা। তবে অবরোধ শতভাগ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

জানা গেছে, জলবায়ুর পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে ঘন ঘন আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারনে নিয়মিত সাগরে যেতে পারেনি জেলেরা। এছাড়া এ বছর জালে ধরা পারেনি কাংখিত ইলিশ। তার উপর ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে সাগর ও নদীতে শুরু হয়েছে সব ধরনের মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এতে অনেকটা হতাশা প্রকাশ করেছেন গভীর সমুদ্র থেকে তীরে ফিরে আশা জেলেরা।

এ নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা আড়তদারের দাদন ও এনজিওর ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার জেলেদের জন্য ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিলেও সব জেলে এ চাল পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পার্শ্ববর্তী ভারতিয় জেলেরা জলসীমানায় অবাধে প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। তাই সাগরে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বাংলা টাইমসকে বলেন, অবরোধ শতভাগ সফল করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। উপজেলার নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩ শ’৫ জন জেলেকে দেওয়া হবে ২৫ কেজি করে চাল। আশা করি এই অবরোধের মধ্যেই এসব জেলেরা সরকারি বরাদ্দকৃত চাল পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।