সাবেক এমপি কালামের বিরুদ্ধে মামলা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৫৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদসহ ৪৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মামুন খান (২৭)। তিনি গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বুজরুক বোয়ালিয়া (হীরকপাড়া) গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান সরকারকে মামলাটি তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মামুন খান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সারাদেশের মতো গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জেও কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। গত ১৭ জুলাই (বুধবার) বিকাল ৪টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার সাফিয়া আছাব বিপিএড কলেজ মাঠ থেকে বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের ডাকে ৭০০-৮০০ ছাত্র জনতা একটি প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে শহরের ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে রাজমতি সুপার মার্কেটের সামনে পূর্ব-পরিকল্পনা মাফিক উল্লেখিত এজাহার নামীয় আসামীগণসহ ১৫০-২০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামী লাঠি, লোহার রড, দেশীয় পিস্তল, রাম-দা, চাইনিজ কুড়াল, চা-পাতি, বার্মিজ চাকু, হকিস্টিক, ইট ও পাথরের টুকরা ভর্তি চটের ব্যাগ নিয়ে অতর্কিতভাবে নিরীহ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়।
সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুলের নেতৃত্বে এজাহার নামীয় আসামীরা আন্দোলনকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মামুন খান, তাসিন, বাঁধন, ওয়ারিদ, শ্রাবণ, আকাশ, ওমর ফারুক, আবিদ হোসেন, ইজাজসহ ২০-২৫ জনের ওপর আক্রমণ করে। এছাড়া ৪০-৪২ জন আন্দোলনকারীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করা হয়। আসামিদের আক্রমণে রাব্বী মিয়া, আকাশ, জারিফ সরকার তাহসিন, শ্রাবণ সরকার, তানভীর সরকার বাঁধনসহ অসংখ্য আন্দোলনকারীরা আহত হয়। এসময় তারা আন্দোলনরত ছাত্র জনতার কাছে থাকা ৬টি স্মার্ট ফোন ও ৩টি বাটন ফোন ছিনিয়ে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মারপিট শেষে আন্দোলনকারীদের আবারও সুযোগমত পেলে মারধরের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসামীগণ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে কুঠিবাড়ী উপজেলা চত্ত্বরে চলে যায়। পরে আহতরা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.ফ.ম. আছাদুজ্জামান বলেন, একজন শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দিয়েছে। এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।