ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেঘনায় বিএপির দু’গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১০

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালসহ ঢাকায় চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারে দাবী জানিয়ে উপজেলা সদরে সকাল ১০টায় মানবন্ধন করে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। এরপর বেলা ১১টার দিকে একই দাবীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রমিজ উদ্দিন এর নেতৃত্বে বিএনপির অপর একটি গ্রুপ মানববন্ধন করতে গেলে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীসহ মানবকণ্ঠের মেঘনা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান আহত হয়। এসময় উপজেলাজুরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মোঠোফোনে জানতে চাইলে রমিজ উদ্দিন (লন্ডনী) বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ফরমায়েসি মামলা দ্রুত প্রত্যাহারে দাবী নিয়ে মেঘনা বিএনপির নেতাকর্মীরা গত ২৬ সেপ্টেম্বর মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নিলে, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া সাহেব একই তারিখে একই প্রোগ্রাম আলাদাভাবে ডাক দেয়। সংঘর্ষের কথা চিন্তা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা তারিখ পরিবর্তন করে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার নির্ধারণ করি। ১ অক্টোবর সেলিম ভূঁইয়া আবারো তার লোকজন নিয়ে একই প্রোগ্রাম করে বেলা ১০ টায়। তার প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর বেলা ১১ টায় আমরা মানববন্ধনে দাঁড়াতে গেলে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে তার লোকজন মেঘনা বিএনপির নেকাকর্মীদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোথাও কোথাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াসহ তার লোকজন মেঘনা থেকে পালিয়ে যায়। আর এই মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম মাত্র।

এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার মোঠোফোনে ফোন দিলে তিনি কেটে দেয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

মেঘনা থানা অফিসার ইনচার্জ আ: জলিল জানান বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন করছে। ৪/৫ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মেঘনায় বিএপির দু’গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১০

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১০:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালসহ ঢাকায় চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারে দাবী জানিয়ে উপজেলা সদরে সকাল ১০টায় মানবন্ধন করে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। এরপর বেলা ১১টার দিকে একই দাবীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রমিজ উদ্দিন এর নেতৃত্বে বিএনপির অপর একটি গ্রুপ মানববন্ধন করতে গেলে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে বিএনপির ১০ নেতাকর্মীসহ মানবকণ্ঠের মেঘনা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান আহত হয়। এসময় উপজেলাজুরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মোঠোফোনে জানতে চাইলে রমিজ উদ্দিন (লন্ডনী) বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ফরমায়েসি মামলা দ্রুত প্রত্যাহারে দাবী নিয়ে মেঘনা বিএনপির নেতাকর্মীরা গত ২৬ সেপ্টেম্বর মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নিলে, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া সাহেব একই তারিখে একই প্রোগ্রাম আলাদাভাবে ডাক দেয়। সংঘর্ষের কথা চিন্তা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা তারিখ পরিবর্তন করে ১ অক্টোবর মঙ্গলবার নির্ধারণ করি। ১ অক্টোবর সেলিম ভূঁইয়া আবারো তার লোকজন নিয়ে একই প্রোগ্রাম করে বেলা ১০ টায়। তার প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর বেলা ১১ টায় আমরা মানববন্ধনে দাঁড়াতে গেলে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে তার লোকজন মেঘনা বিএনপির নেকাকর্মীদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোথাও কোথাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াসহ তার লোকজন মেঘনা থেকে পালিয়ে যায়। আর এই মানববন্ধনের আয়োজন করে উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম মাত্র।

এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার মোঠোফোনে ফোন দিলে তিনি কেটে দেয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

মেঘনা থানা অফিসার ইনচার্জ আ: জলিল জানান বিএনপির দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন করছে। ৪/৫ জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।