পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি বাতিল
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তাতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করা হলো।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খম কবিরুল ইসলামকে আহবায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্য সচিব করে সমন্বয় কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা ছিলেন-শিক্ষা গবেষক রাখাল রাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, ঢাবির বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা নিত্রা, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আখতার খান,এনসিটিবি শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী এবং এনসিটিবি প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের সদস্য অধ্যাপক এ এফ এম সারোয়ার জাহান।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সচেতন নাগরিক সমাজ। সেখান থেকে চিহ্নিত ইসলাম ও দেশবিরোধী ব্যক্তিদের দ্রুত অপসারণ এবং দেশপ্রেমী মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল শিক্ষাবিদদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক আলেম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী অংশ নেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপিত জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কমপক্ষে দুজন বিশিষ্ট আলেমকে রাখার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গত ২১ আগস্ট জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটিতে কোনো আলেম না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় হেফাজতে ইসলাম। একই সঙ্গে তারা এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়।
এ ছাড়া গত ২৭ সেপ্টেম্বর আহমাদুল্লাহ ফেসবুকে লিখেন, ধর্মপ্রাণ মানুষের সন্তানরা কি পড়বে, তা ঠিক করবে চিহ্নিত ধর্ম বিদ্বেষীরা! এটা শহীদদের রক্তের সাথে সুস্পষ্ট বেঈমানি।