ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তে পরিবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের প্রধান নিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়ে দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানি অনুমতির কথা জানানো হয়।

ইলিশ রপ্তানিতে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে দুই হাজার ৪০০ টন, আর একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।

ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিলো গত সোমবার। নতুন ও পুরোনো সব আবেদনপত্র এবং এর সাথে সম্পর্কিত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ইলিশ রপ্তানির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এর বিপরীতে দেয়া হয় আটটি শর্ত। শর্তে বলা হয়, অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।

যেসব শর্ত দিয়ে প্রতিবছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়, এবারও সেগুলোই রাখা হয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে বিদ্যমান রপ্তানিনীতির বিধিবিধান মানা, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইলিশের কায়িক পরীক্ষা করানো এবং প্রতিটি চালান (কনসাইনমেন্ট) শেষে রপ্তানিসংক্রান্ত কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা।

এছাড়া অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি না করা, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ছাড়া ঠিকায় (সাব–কন্ট্রাক্ট) রপ্তানি না করার শর্তও থাকছে। বলা হয়েছে, সরকার যেকোনো সময় রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে। সব সময়ই এসব শর্ত থাকে।

ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এস এ আর এন্টারপ্রাইজ, আরিফ সি ফুডস, জারা এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ ফিড, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, টাইগার ট্রেডিং, রুপালী সি ফুডস লিমিটেড, লাকি এন্টারপ্রাইজ, রিপা এন্টারপ্রাইজ, জেবিএস ফুড প্রোডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং কোম্পানি লিমিটেড, মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, মহিমা এন্টারপ্রাইজ, রহমান ইমপেক্স, আসিফ ইমপেক্স, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সততা ফিশ, নোমান এন্টারপ্রাইজ, যমুনা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, প্যাসিফিক সি ফুডস লিমিটেড, ক্যাপিটাল এক্সপোর্ট ইমপোর্ট অ্যান্ড কোম্পানি, জেজে ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্বাস ইন্টারন্যাশনাল, অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সুমন ট্রেডার্স, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ, আঁচল এন্টারপ্রাইজ, ২ এইচ ইন্টারন্যাশনাল, এমএপি ইন্টারন্যাশনাল, সরদার এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট, আসফা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ইউভা ট্রেডিং, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল, স্ট্যান্ডার্ড ফুড করপোরেশন, জেএস এন্টারপ্রাইজ, পদ্মা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, মেসার্স আহনাফ ট্রেডিং, নাফিজা এন্টারপ্রাইজ, মাসুদ ফিশ প্রসেসিং, আরকে ট্রেডার্স, ডিপ সি ফিশারিজ লিমিটেড,বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ ও লোকজ ফ্যাশন।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লোকজ ফ্যাশন ২০ টন, আর বাকি সবকটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রফতানির অনুমোদন পেয়েছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এর আগে গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছিলেন, ‘দেশবাসী ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে না।

পরে গত ২১ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির কথা জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বৃহত্তর স্বার্থে এবং সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্তে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তে পরিবর্তন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের প্রধান নিয়ন্ত্রককে চিঠি দিয়ে দুই হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানি অনুমতির কথা জানানো হয়।

ইলিশ রপ্তানিতে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে এ অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে দুই হাজার ৪০০ টন, আর একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে।

ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদনের শেষ সময় ছিলো গত সোমবার। নতুন ও পুরোনো সব আবেদনপত্র এবং এর সাথে সম্পর্কিত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ইলিশ রপ্তানির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এর বিপরীতে দেয়া হয় আটটি শর্ত। শর্তে বলা হয়, অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত।

যেসব শর্ত দিয়ে প্রতিবছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়, এবারও সেগুলোই রাখা হয়েছে। শর্তগুলো হচ্ছে বিদ্যমান রপ্তানিনীতির বিধিবিধান মানা, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইলিশের কায়িক পরীক্ষা করানো এবং প্রতিটি চালান (কনসাইনমেন্ট) শেষে রপ্তানিসংক্রান্ত কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা।

এছাড়া অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি না করা, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ছাড়া ঠিকায় (সাব–কন্ট্রাক্ট) রপ্তানি না করার শর্তও থাকছে। বলা হয়েছে, সরকার যেকোনো সময় রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে। সব সময়ই এসব শর্ত থাকে।

ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এস এ আর এন্টারপ্রাইজ, আরিফ সি ফুডস, জারা এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ ফিড, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, টাইগার ট্রেডিং, রুপালী সি ফুডস লিমিটেড, লাকি এন্টারপ্রাইজ, রিপা এন্টারপ্রাইজ, জেবিএস ফুড প্রোডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং কোম্পানি লিমিটেড, মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, মহিমা এন্টারপ্রাইজ, রহমান ইমপেক্স, আসিফ ইমপেক্স, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সততা ফিশ, নোমান এন্টারপ্রাইজ, যমুনা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, প্যাসিফিক সি ফুডস লিমিটেড, ক্যাপিটাল এক্সপোর্ট ইমপোর্ট অ্যান্ড কোম্পানি, জেজে ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্বাস ইন্টারন্যাশনাল, অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, সুমন ট্রেডার্স, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, সততা ফিশ, আঁচল এন্টারপ্রাইজ, ২ এইচ ইন্টারন্যাশনাল, এমএপি ইন্টারন্যাশনাল, সরদার এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট, আসফা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, ইউভা ট্রেডিং, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল, স্ট্যান্ডার্ড ফুড করপোরেশন, জেএস এন্টারপ্রাইজ, পদ্মা অ্যাগ্রো ফিশারিজ, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, মেসার্স আহনাফ ট্রেডিং, নাফিজা এন্টারপ্রাইজ, মাসুদ ফিশ প্রসেসিং, আরকে ট্রেডার্স, ডিপ সি ফিশারিজ লিমিটেড,বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ ও লোকজ ফ্যাশন।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লোকজ ফ্যাশন ২০ টন, আর বাকি সবকটি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রফতানির অনুমোদন পেয়েছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এর আগে গত ১১ আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছিলেন, ‘দেশবাসী ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রপ্তানি হবে, এটা হতে পারে না।

পরে গত ২১ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির কথা জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বৃহত্তর স্বার্থে এবং সর্বোচ্চ মহলের সিদ্ধান্তে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে।