ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে যানজটে নাজেহাল মানুষ, জনসচেতনতাই মুক্তির পথ

শহিদুল ইসলাম দইচ, যশোর
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোর শহরের সড়কগুলোতে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে রিকশা -ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচল। ফলে শহরের সড়কগুলোতে এখন নিত্য যানজট লেগেই আছে। দিনভর ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না যানজট। জনভোগান্তি থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে যশোরবাসী। তবে বিশিষ্টজনেরা বলছেন জনসচেতনতাই মুক্তির একমাত্র পথ।

যশোর শহরের রাস্তাগুলো যে পরিমাণ প্রশস্ত হওয়া দরকার তার তুলনায় সরু ( চাপা)। যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা, চিত্রার মোড়, চৌরাস্তা, ঈদগার মোড়, উপশহর খাজুরা বাস স্ট্যান্ড, রেলগেট সহ শহরের সড়ক গুলিতে দীর্ঘ যানজটের লম্বা লাইন পড়ে যায়। পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হওয়ার সুযোগ নেই।আর স্কুল -কলেজ ছুটির সময় আরো বেশি যানজট বৃদ্ধি পায়।

এর মূল কারণ রিকশা এবং ইজিবাইক চালকদের নিয়ম শৃংঙ্খলা মেনে না চলা। খুব দ্রুতগতিতে চালানো। একটা আর একটিকে ওভারটিক করা এবং যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো নামানো। এছাড়া ঈদগার পাশে আইনজীবী সামনে অসংখ্য ইজিবাইক এলোপাথাড়ী যাত্রীদের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। এতে ব্যস্ততম সড়কের অর্ধেক দখলে থাকে ইজিবাইকের। একইভাবে শহরের চৌরাস্তা দড়াটানা, খাজুরা স্ট্যান্ড ও মনিহার চত্বর সবসময় দখল করেই রাখে ইজিবাইক এবং রিকশাচালকরা।

ফুটপাত দখল করে রাখা তো আছেই।যশোরের বিশিষ্টজনরা বলেছেন, পৌরসভার অস্বাভাবিকভাবে রিকশা এবং ইজিবাইক চালকদের অনুমোদন দিয়েছেন এই অনুমোদন বন্ধ করতে হবে। ইজিবাইক ও রিক্সা চালক সমিতি এবং মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে পরিকল্পিতভাবে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে একটার সাথে একটি তার পরে আরেকটি ইজি বাইককে দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তার অর্ধেক দখল করে রাখাতে দেওয়া যাবে না। ফুটপাত দখল মুক্ত করে হকারদের পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র(হকার) ব্যবসায়ীদের সরিয়ে স্টেডিয়ামের পাশে স্থানান্তরিত করতে হবে ।

শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়া টানার মধ্যে কোন খালি রিক্সা এবং ইজিবাইক ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তাহা হলে শহরের যানজট অনেকটাই কমবে দাবি বিশিষ্টজনদের।

জানতে চাইলে যশোরের পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাংলা টাইমসকে বলেন, যানজট নিরসনের জন্য ইতোমধ্যে রিক্সা – ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাথে বৈঠক করেছি। ইজিবাইক ও রিকশাচালকদের সচেতনতার কাজ শুরু করেছি। যশোরের ট্রাফিক পুলিশ যানজট মুক্ত রাখতে নিরোলস কাজ করে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে যশোর পৌরসভার প্রশাসক মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ২৫ দিন পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করে পালন করছি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বাংলা টাইমসকে বলেন, আমি যশোরের বিশিষ্টজন,পুলিশ প্রশাসন, ইজিবাইক – রিকসা মালিক ও চালক সংগঠনের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব বলে আশ্বস্ত করেন।

ট্রাফিক পুলিশের টিআই( প্রশাসন) মাহমুদুর রহমান বাংলা টাইমসকে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ ১৫টি করে ৩০টি টিমে ৫ জন টিআই, ১২জন সার্জেন্ট, ৭জন টিএসআই, ৪৭ জন এটিএসআই মিলে মোট ৮৫ জন ট্রাফিক পুলিশ মাঠে কাজ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজুর রহমান বলেন,যানজট নিরসনে সচেতনতার বিকল্প নেই।জনসচেতনতাকে মাথায় রেখেই নতুন করে কাজ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যশোরে যানজটে নাজেহাল মানুষ, জনসচেতনতাই মুক্তির পথ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:১২:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যশোর শহরের সড়কগুলোতে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে রিকশা -ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচল। ফলে শহরের সড়কগুলোতে এখন নিত্য যানজট লেগেই আছে। দিনভর ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না যানজট। জনভোগান্তি থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে যশোরবাসী। তবে বিশিষ্টজনেরা বলছেন জনসচেতনতাই মুক্তির একমাত্র পথ।

যশোর শহরের রাস্তাগুলো যে পরিমাণ প্রশস্ত হওয়া দরকার তার তুলনায় সরু ( চাপা)। যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা, চিত্রার মোড়, চৌরাস্তা, ঈদগার মোড়, উপশহর খাজুরা বাস স্ট্যান্ড, রেলগেট সহ শহরের সড়ক গুলিতে দীর্ঘ যানজটের লম্বা লাইন পড়ে যায়। পায়ে হেঁটে রাস্তা পার হওয়ার সুযোগ নেই।আর স্কুল -কলেজ ছুটির সময় আরো বেশি যানজট বৃদ্ধি পায়।

এর মূল কারণ রিকশা এবং ইজিবাইক চালকদের নিয়ম শৃংঙ্খলা মেনে না চলা। খুব দ্রুতগতিতে চালানো। একটা আর একটিকে ওভারটিক করা এবং যত্রতত্র যাত্রী ওঠানো নামানো। এছাড়া ঈদগার পাশে আইনজীবী সামনে অসংখ্য ইজিবাইক এলোপাথাড়ী যাত্রীদের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। এতে ব্যস্ততম সড়কের অর্ধেক দখলে থাকে ইজিবাইকের। একইভাবে শহরের চৌরাস্তা দড়াটানা, খাজুরা স্ট্যান্ড ও মনিহার চত্বর সবসময় দখল করেই রাখে ইজিবাইক এবং রিকশাচালকরা।

ফুটপাত দখল করে রাখা তো আছেই।যশোরের বিশিষ্টজনরা বলেছেন, পৌরসভার অস্বাভাবিকভাবে রিকশা এবং ইজিবাইক চালকদের অনুমোদন দিয়েছেন এই অনুমোদন বন্ধ করতে হবে। ইজিবাইক ও রিক্সা চালক সমিতি এবং মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে পরিকল্পিতভাবে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে একটার সাথে একটি তার পরে আরেকটি ইজি বাইককে দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তার অর্ধেক দখল করে রাখাতে দেওয়া যাবে না। ফুটপাত দখল মুক্ত করে হকারদের পৌরসভা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র(হকার) ব্যবসায়ীদের সরিয়ে স্টেডিয়ামের পাশে স্থানান্তরিত করতে হবে ।

শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়া টানার মধ্যে কোন খালি রিক্সা এবং ইজিবাইক ঢুকতে দেওয়া যাবে না। তাহা হলে শহরের যানজট অনেকটাই কমবে দাবি বিশিষ্টজনদের।

জানতে চাইলে যশোরের পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাংলা টাইমসকে বলেন, যানজট নিরসনের জন্য ইতোমধ্যে রিক্সা – ইজিবাইক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাথে বৈঠক করেছি। ইজিবাইক ও রিকশাচালকদের সচেতনতার কাজ শুরু করেছি। যশোরের ট্রাফিক পুলিশ যানজট মুক্ত রাখতে নিরোলস কাজ করে যাচ্ছে।

জানতে চাইলে যশোর পৌরসভার প্রশাসক মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ২৫ দিন পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করে পালন করছি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বাংলা টাইমসকে বলেন, আমি যশোরের বিশিষ্টজন,পুলিশ প্রশাসন, ইজিবাইক – রিকসা মালিক ও চালক সংগঠনের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিব বলে আশ্বস্ত করেন।

ট্রাফিক পুলিশের টিআই( প্রশাসন) মাহমুদুর রহমান বাংলা টাইমসকে বলেন, ট্রাফিক পুলিশ ১৫টি করে ৩০টি টিমে ৫ জন টিআই, ১২জন সার্জেন্ট, ৭জন টিএসআই, ৪৭ জন এটিএসআই মিলে মোট ৮৫ জন ট্রাফিক পুলিশ মাঠে কাজ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজুর রহমান বলেন,যানজট নিরসনে সচেতনতার বিকল্প নেই।জনসচেতনতাকে মাথায় রেখেই নতুন করে কাজ করছি।