ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের কার্যালয় বিএনপির দখলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর কুমিল্লার ১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সদ্য সাবেক এমপি ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের কার্যালয়টি দখল করে নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বর্তমানে সেটির নাম দেয়া হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) হল।

তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি তারা কার্যালয়টি উদ্ধার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন, সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে তারা এটি ফিরিয়ে দেবেন। তবে কারও ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় অফিস বিএনপি’র নামে দখল করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরে বিলুপ্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওই পরিত্যক্ত হলরুমটি তৎকালীন সংসদ সদস্য মুজিবুল হক সংস্কার করে ব্যক্তিগত কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের দিনই চৌদ্দগ্রামের বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মুজিবুল হকের ওই কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালান। মুজিবুল হক জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

সরকার পতনের পর মুজিবুল হক ও তার অনুসারী নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ার সুযোগে কার্যালয়টি দখলে নেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে কার্যালয়টির দরজা-জানালা মেরামত করা হয়েছে এবং ওই কার্যালয়ের সামনে ‘শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) হল’ লেখা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ২০২০ সালের শুরু থেকে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত মুজিবুল হক যখনই চৌদ্দগ্রাম সদরে এসেছেন, তখনই ওই কার্যালয়ে বসতেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও এটি ছিল তার নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক হারুনুর রশিদের অনুসারীরা কার্যালয়টি দখলে নিয়েছেন। বর্তমানে বিএনপি এ হল রুমটি দখল করে বিএনপির নানা ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে রেখেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে কার্যালয়টি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা স্বীকার করে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক হারুনুর রশিদ বলেন, তাঁরা কার্যালয়টি উদ্ধার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন। সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে তারা এটি ফিরিয়ে দিতে রাজি আছেন। কেউ যেন দখলের সাহস না করেন, এজন্য হলরুমের নাম রাখা হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) হল।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে সম্পত্তি দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় করার কোনো সুযোগ নেই।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, যে দলেরই হউক কারও ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় অফিস বিএনপির নামে দখল করার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানা ছিল না, এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের কার্যালয় বিএনপির দখলে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর কুমিল্লার ১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সদ্য সাবেক এমপি ও সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের কার্যালয়টি দখল করে নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বর্তমানে সেটির নাম দেয়া হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) হল।

তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি তারা কার্যালয়টি উদ্ধার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন, সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে তারা এটি ফিরিয়ে দেবেন। তবে কারও ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় অফিস বিএনপি’র নামে দখল করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সদরে বিলুপ্ত হওয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওই পরিত্যক্ত হলরুমটি তৎকালীন সংসদ সদস্য মুজিবুল হক সংস্কার করে ব্যক্তিগত কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের দিনই চৌদ্দগ্রামের বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মুজিবুল হকের ওই কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালান। মুজিবুল হক জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

সরকার পতনের পর মুজিবুল হক ও তার অনুসারী নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ার সুযোগে কার্যালয়টি দখলে নেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে কার্যালয়টির দরজা-জানালা মেরামত করা হয়েছে এবং ওই কার্যালয়ের সামনে ‘শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) হল’ লেখা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ২০২০ সালের শুরু থেকে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত মুজিবুল হক যখনই চৌদ্দগ্রাম সদরে এসেছেন, তখনই ওই কার্যালয়ে বসতেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও এটি ছিল তার নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক হারুনুর রশিদের অনুসারীরা কার্যালয়টি দখলে নিয়েছেন। বর্তমানে বিএনপি এ হল রুমটি দখল করে বিএনপির নানা ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে রেখেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে কার্যালয়টি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা স্বীকার করে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক হারুনুর রশিদ বলেন, তাঁরা কার্যালয়টি উদ্ধার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রেখেছেন। সরকার চাইলে যেকোনো মুহূর্তে তারা এটি ফিরিয়ে দিতে রাজি আছেন। কেউ যেন দখলের সাহস না করেন, এজন্য হলরুমের নাম রাখা হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) হল।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে সম্পত্তি দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় করার কোনো সুযোগ নেই।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, যে দলেরই হউক কারও ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় অফিস বিএনপির নামে দখল করার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানা ছিল না, এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।