ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিডিআর বিদ্রােহের ঘটনা ফের তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে আইনী নোটিশ

আদালত প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় বিদ্রাহের সময় সেনা অফিসারদের হত্যার ঘটনা ফের তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে আইনী নোটিশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষারসহ ৯ জন আইনজীবী ও একজন ব্যবসায়ীর পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ডিজিকে ই-মেইলযোগে এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশ দাতারা হলেন- সুপ্রিম কাের্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, এডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, এডভোকেট মো. শাহেদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার সলিম উল্লাহ, এডভোকেট লোকমান হাকিম, ব্যারিস্টার ও সলিসিটর মো. কাউসার, ও ব্যবসায়ী মাহফুজুল ইসলাম।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ফের তদন্ত করতে নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ও ওই ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ ও আহতদের ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা অফিসারসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।

আইনী নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা শাস্তির আওতায় আসেনি। অনেক নিরীহ মানুষকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি সাবেক সেনা প্রথান জেনারেল (অব.) জেনারেল মইল আহমেদ বলেছেন, বিডিআর সদর দপ্তের নৃসংস হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা জনগণ জানতে পারেনি।

আইনী নোটিশে আরও বলা হয়, সেনা অফিসারদের জীবন রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল নোটিশগ্রহীতাদের। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী এ দায়িত্ব রক্ষায় নোটিশ গ্রহীতরা ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, বিডিআর বিদ্রাহের ঘটনাটি অত্যান্ত বেদনাদায়ক। তাতে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ওই ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। আবার অনেক নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ওই ঘটনা আবার তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে বলেছি। নোটিশ গ্রহীতরা ব্যবস্থা না নিলে মহামান্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিডিআর বিদ্রােহের ঘটনা ফের তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে আইনী নোটিশ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর রাজধানীর পিলখানায় বিদ্রাহের সময় সেনা অফিসারদের হত্যার ঘটনা ফের তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে আইনী নোটিশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষারসহ ৯ জন আইনজীবী ও একজন ব্যবসায়ীর পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের ডিজিকে ই-মেইলযোগে এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশ দাতারা হলেন- সুপ্রিম কাের্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, এডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, এডভোকেট মো. শাহেদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার সলিম উল্লাহ, এডভোকেট লোকমান হাকিম, ব্যারিস্টার ও সলিসিটর মো. কাউসার, ও ব্যবসায়ী মাহফুজুল ইসলাম।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ফের তদন্ত করতে নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ও ওই ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপুরণ ও আহতদের ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা অফিসারসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।

আইনী নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশী-বিদেশী সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা শাস্তির আওতায় আসেনি। অনেক নিরীহ মানুষকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি সাবেক সেনা প্রথান জেনারেল (অব.) জেনারেল মইল আহমেদ বলেছেন, বিডিআর সদর দপ্তের নৃসংস হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা জনগণ জানতে পারেনি।

আইনী নোটিশে আরও বলা হয়, সেনা অফিসারদের জীবন রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল নোটিশগ্রহীতাদের। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী এ দায়িত্ব রক্ষায় নোটিশ গ্রহীতরা ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, বিডিআর বিদ্রাহের ঘটনাটি অত্যান্ত বেদনাদায়ক। তাতে ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ওই ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। আবার অনেক নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ওই ঘটনা আবার তদন্ত করতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে বলেছি। নোটিশ গ্রহীতরা ব্যবস্থা না নিলে মহামান্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে।