শ্রীমঙ্গলে জমি দখলের অভিযোগে দুই ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে মৃণাল কান্তি ঘোষ (২২) ও পার্বতী রানী ঘোষ(৪৫)। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শহরের একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
লিখিত বক্তব্যে মৃনাল কান্তি ঘোষ বলেন, আশীদ্রোন ইউনিয়নের বেগুনবাড়ি এলাকায় আমার মৌরশি সম্পদ আনারস বাগান রকম ১ একর ২৯ শতাংশ ভূমিতে লেবু, আনারস ইত্যাদি ফসল ফলিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্ত অত্র এলাকায় মো. আবু তাহের ও তার সন্তানসহ গত ১৬ বছর যাবত আমার মৌরসী ভূমি জোরপূর্বক দখল করে ভোগ ব্যবহার করে আসছেন। আমি বারবার তাদের বাঁধা দিলে তারা আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ও প্রান নাশের ভয় দেখায়। এ বিষয়ে আমি এলাকার গণ্য-মান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউপি সদস্য ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিকট বলার পর কয়েকবার বিচার শালিস করা হয়েছে। কিন্তু মো. আবু তাহের ও তার সন্তানেরা বিচার না মেনে প্রভাবশীল ব্যক্তিদের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক দখল করে ভোগ করছে আমাদের সম্পত্তি।
অপরজন পার্বতী রানী ঘোষ লিখিত বক্তব্যে বলেন, আশীদ্রোন ইউনিয়নের বেগুনবাড়ি এলাকায় আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করার পর উক্ত জমি আমি প্রাপ্ত হইয়া আনারস বাগান ১৬.৫০ শতাংশ ভূমিতে লেবু, আনারস ইত্যাদি ফসল ফলিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। মো. আবু তাহের ও তার সন্তানসহ বিগত ০৪ বছর যাবত আমার স্বামীর ভূমি জোরপূর্বক জমি দখল করে ভোগ ব্যবহার করে আসছে। আমি আমার আত্মীয়-স্বজন নিয়া বার বার তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ও প্রান নাশের ভয় দেখায়। আমি একজন অসহায় ও স্বামী হারা এবং ছোট ছোট তিন ছেলে সন্তান নিয়ে অনেক দুঃখ-কষ্টে বসবাস করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি এলাকার গণ্য-মান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান নিকট কয়েক বার বলার পরও এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত পাইনি এবং আমাকে আরও ভয়ভীতি দেখায়। আরও বলে আমি যদি আরও মানুষের কাছে বলি তাহলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি একজন অসহায় স্বামী হারা মহিলা। আমার স্বামীর ভূমি ফেরত পেলে ছেলে ও পরিবার নিয়ে চারটা ডাল- ভাত খেয়ে যেতে পারবো।
এই মৌরসি ভূমি উদ্বার জন্য দেশের সরকার প্রধান মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন জানাই। সেই সাথে শ্রীমঙ্গলের স্থানীয় প্রশাসন, থানা প্রশাসন, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি সহ সকল মানবিক মূল্যবোধের মানুষের কাছে সহযোগীতার জন্য বিনীত নিবেদন জানাই।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তাহেরের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।