কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ, আমনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে বরিশালে প্রায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে জনজীবনে ছন্দপতন ঘটে। ভাদ্রের পূর্ণিমায় ভর করে কয়েক দফার প্রবল বর্ষণে আগষ্টে বরিশাল অঞ্চলে প্রায় ৬২ ভাগ বেশী বৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর ফলে এ অঞ্চলে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ গভীর হচ্ছে।
প্রায় ২৪ লাখ টন চাল প্রাপ্তির আশা নিয়ে চলতি খরিফ-২ মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলে প্রায় নয় লাখ হেক্টরে প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমনের আবাদ হওয়ার কথা। কিন্তু মৌসুমের দুই-তৃতীয়াংশ সময় পেরিয়ে গেলেও এথন পর্যন্ত মাত্র ৪০ ভাগ জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। বিগত পূর্ণিমার প্রবল বর্ষণের সাথে উজানের ঢল ও ফুঁসে ওঠা সাগরের জোয়ারের প্লাবনে বরিশাল অঞ্চলে আমনের পুরো বীজতলাসহ প্রায় ৪০ ভাগ রোপা আমন নিমজ্জিত হয়। অথচ চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত জমিতে বীজতলা তৈরী করা হয়েছিলো। কিন্তু প্লাবন ও অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা পুনরুদ্ধারের কোন সম্ভাবনা না থাকায় এবার বরিশাল অঞ্চলে আমনের রোপার লক্ষ্যে পৌঁছা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, বরিশালসহ সন্নিহিত এলাকায় মৌসুমী বায়ু মোটামুটি সক্রিয় এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্তই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টিসহ কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এমনকি বরিশালসহ কয়েকটি এলাকার উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি সহ বজ্র-বৃষ্টি হতে পারে। এ আশংকায় এ অঞ্চলের সবকটি নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেতও দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
বিগত কয়েকটি বছর ধরেই ভাদ্রের পূর্ণিমা ও অমাবস্যার সময়ে বরিশাল অঞ্চলে ভারী বর্ষণের সাথে উজানের ঢল ও ফুঁসে ওঠা সাগরের জোয়ারে বীজতলাসহ রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে ভাদ্রের পূর্ণিমায় বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটে গেছে। গত মাসেই বরিশালে স্বাভাবিক ৪৭৮ মিলিমিটারের স্থলে ৭৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
চলতি মাসে ২৮৫-৩৫০ মিলি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হলেও ভাদ্রের অমাবস্যায় ভর করে কি পরিমান বৃষ্টি হয় তা নিয়ে শংকিত বরিশালের কৃষি বিভাগ। এ বৃষ্টিপাতের ওপরে প্রায় ২৪ লাখ টন আমন চাল ঘরে তোলার বিষয়টি নির্ভরশীল বলেই মনে করছেন কৃষকরা।