এমন ভয়াবহ বন্যা আগে দেখেনি কেউ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
ফেনী জেলার ছয় উপজেলাই চলমান বন্যায় চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকাল পর্যন্ত জেলার তুলনামূলক উঁচু স্থান বলে পরিচিত ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও ফেনী শহরসহ অধিকাংশ জায়গা কোমর পানিতে ডুবে গেছে। এ সময় শহর সহ পুরো জেলা বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ভাসছিল। বৃষ্টি ও ঢলে পানি ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
এদিকে, ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী- পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার প্রায় নব্বই ভাগ জায়গা ডুবে গেছে। দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলার পঞ্চাশ ভাগ এলাকা ডুবে যায়। বিদ্যুৎসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে গেছে।
জেলার সব উপজেলার পৌর শহরগুলোও এখন পানির নিচে। বন্যা দুর্গতদের সহযোগিতায় উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সহযোগিতার জন্য পৌঁছেছে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড। স্বেচ্ছাসেবীরাও যাচ্ছেন। তবে অনেক মানুষ এখনো আশ্রয় ও উদ্ধারহীন।
স্থানীয়দের দাবি, যে পরিমাণ সহযোগিতা প্রয়োজন, সে তুলনায় খুব কমই এখন পর্যন্ত সেখানে পৌঁছেছে। স্পীডবোটে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। হেলিকপ্টারও দেখা গেছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অনেকের মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হওয়ায় যোগাযোগ করতে পারছেন না। সেই সঙ্গে মোবাইল টাওয়ার নেটওয়ার্কেও সমস্যা হচ্ছে। জেলায় বসবাস করা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে দেশের বাইরে ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত মানুষ উদ্বিগ্ন।
পানি উন্নয়নের বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা বলেন, ফেনীর রামগর পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পানি রয়েছে বিপৎসীমার ২১৮ সেন্টিমিটার উপরে। ফেনীর পরশুরামের সঙ্গে আমাদেরও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে, বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা উজানের পানি সহজে নেমে যেতে জেলার মুহুরী প্রকল্প এলাকায় মুহুরী রেগুলেটরের ৪০টি এবং মুছাপুর রেগুলেটরের ১৮টি গেট (জলকপাট) খুলে দেওয়া হয়েছে।
বন্যাকবলিতরা বলছেন, ফেনীতে এমন ভয়াবহ বন্যা আগে দেখেনি কেউ। প্রতিনিয়ত পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।