নিহতদের স্বজনদের দাবি
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা-সেলিম জড়িত
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৫২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ সেলিম শেখ ফজলে নূর তাপস সরাসরি জড়িত। নিহতের স্বজনরা এমনটাই দাবি করেছেন।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন নিহত মেজর শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদ।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরদের একটি গ্রুপ দ্বারা বিদ্রোহ সংগঠিত হয়।
পিলখানায় বিডিআর সদর দফতর দখল করে বিডিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ জন বেসামরিককে হত্যা করে। তারা বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি চালিয়েছিল, তারা অনেক অফিসার এবং তাদের পরিবারকে জিম্মি করেছিলো। পরে সরকারের সাথে একাধিক আলাপ-আলোচনার পর বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণ করে এবং জিম্মিদের মুক্তি দেয়। অস্ত্র সমর্পণের মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে এই বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এছাড়া ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। আরও ২৫ জন বিদ্রোহে জড়িত থাকার কারণে তিন থেকে ১০ বছরের মধ্যে কারাদণ্ড পেয়েছিল। আদালত ২৭৭ জনকেও খালাস দিয়েছিল।
১৫ বছর আগেরএই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ আরও অনেকে সরাসরি জড়িত ছিলে বলে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত মেজর শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদ বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ফজলে নুর তাপস ও শেখ সেলিম সরাসরি জড়িত ছিলো।
নিহত পরিবারের সদস্যরা আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতেরও হাত আছে। এছাড়া এ হত্যকাণ্ডের ঘটনায় ডাল-ভাত নিয়ে দ্বন্দ্বের যে কথা প্রচার করা হয় তা সত্য নয়। হত্যাকাণ্ডটিকে ভিন্নখাতে নিতেই এমন কথা প্রচার করা হয়।