ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় সনাতন ছাত্র-জনতার মানববন্ধন, নির্যাতন বন্ধের দাবি

সরকার লুৎফর রহমান,গাইবান্ধা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গণ আন্দোলনের পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা, মন্দির ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের কঠোর বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে ৮ দফা দাবিতে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে মানববন্ধন করে সনাতনী ছাত্র-জনতা আন্দোলন। এতে দাবি-দাওয়া সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মানিক বর্মণ, সৌমিক বক্সী, পূজা মহন্ত, শুভ্র দেব, সুব্রত দাশ প্রমুখ। এসময় সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, মন্দির ভাংচুর, বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ সকল প্রকারের নির্যাতনের সাথে জড়িত সকল দুষ্কৃতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, সংখ্যালঘুদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধন থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৮ দাবি উত্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হলো: ১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২.অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে।৩.‘সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে। ৪. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। ৫. ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ৬. প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে। ৭.‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে। ৮. শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গাইবান্ধায় সনাতন ছাত্র-জনতার মানববন্ধন, নির্যাতন বন্ধের দাবি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

গণ আন্দোলনের পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশের বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা, মন্দির ভাঙচুর ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের কঠোর বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে ৮ দফা দাবিতে গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে মানববন্ধন করে সনাতনী ছাত্র-জনতা আন্দোলন। এতে দাবি-দাওয়া সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মানিক বর্মণ, সৌমিক বক্সী, পূজা মহন্ত, শুভ্র দেব, সুব্রত দাশ প্রমুখ। এসময় সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, মন্দির ভাংচুর, বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ সকল প্রকারের নির্যাতনের সাথে জড়িত সকল দুষ্কৃতকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, সংখ্যালঘুদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধন থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৮ দাবি উত্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হলো: ১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২.অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে।৩.‘সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করতে হবে। ৪. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। ৫. ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন’ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ৬. প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে। ৭.‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড’ আধুনিকায়ন করতে হবে। ৮. শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে।