ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীরক্ষা বাঁধ ক্ষতি হলেও নতুন প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখছেনা

বরিশালের ১৩২টি নদ-নদীর শত শত কি.মি. এলাকায় ভাঙন

শাহ জালাল, বরিশাল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সংকটের মধ্যে উজানের ঢলের পানিতে নদী বহুল বরিশালের নদ-নদী ভাঙন ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারন করছে। বরিশালের ১৩২টি ছোট বড় নদ-নদীর প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার এলাকার শত শত কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙনে সর্বহারা হচ্ছে মানুষ। অনেক সরকারী-বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ ফসলী জমিও নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতিবছর । কিন্তু এখনো তহবিল সংকট সহ ভাঙন রোধে প্রকল্প প্রস্তাবসমূহ দ্রুত অনুমোদন সহ তা বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ অব্যাহত আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় ভাঙন রোধে অনেকগুলো প্রকল্প সম্পন্ন এবং আরও কিছু চলমান থাকলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম বলে মন্তব্য করেছেন নদী বিশেষজ্ঞগণ ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তবে বরিশালের আরও ৬টি গুরুত্বপূর্ণস্থানে নদী ভাঙন রোধসহ বরিশালে সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসনে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

পাশাপাশি বরিশাল অঞ্চলের নদী সমূহের অববাহিকা ভিত্তিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা অতি সম্প্রতি অনুমোদিত হয়েছে। এ সমীক্ষার আওতায় বরিশালের বিভিন্ন ভাঙন প্রবন এলাকার ওপর পরিপূর্ণ সমীক্ষা করা হবে। ২০২৬ সনের জুনের মধ্যে এ সমীক্ষা সম্পাদন শেষে সুপারিশ সমূহের আলোকে ভাঙন প্রবন এলাকাগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো অনুমোদনের ভিত্তিতে নদী ভাঙন রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী।

এদিকে, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর ভাঙন থেকে কাকচিরা, কালমেঘা, জিনতলা,পদ্মা ও কাঠালতলী বাজার রক্ষাসহ এবং ৩৯/১এ ও ৪০/১ পোল্ডার ও একাই নদীর ভাঙন থেকে বামনা ও কালিকাবাড়ি লঞ্চঘাট এবং ৩৯/২ এবং ৩৯/১ডি পোল্ডার অভ্যন্তরে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো নির্মানের লক্ষ্যে এক হাজার ৪১০ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পেশ করা হয়। কমিশনের নির্দেশে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার লক্ষ্যে নদী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস’র মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বলেশ্বর নদীর ভাঙন থেকে বড় মাছুয়ার স্টিমার ঘাট এলাকায় উপকূলীয় পোল্ডার ৩৯/২ডি রক্ষায় প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫শ মিটার নদী তীর সংরক্ষণের ডিপিপি পুনরায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সন্ধ্যা নদীর ভাঙন থেকে ইন্দুরহাট বন্দর সংলগ্ন লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ও সংলগ্ন এলাকা রক্ষায় ১ হাজার ১৬০ মিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজে ৪৭.৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পুনরায় মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরে তা পরিকল্পনা কমিশনের বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে।

এছাড়া উপকূলীয় সমুদ্র সৈকত রক্ষায় প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে ৬৮টি গ্রেয়োন নির্মান ও ২ হাজার ৭শ মিটার এলাকায় স্লিপিং ডিফেন্স নির্মানের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা কাজের পাশাপাশি আরো ৬০০ মিটার এলাকায় প্রতিরক্ষা কাজের জন্য ৭৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা গত প্রায় ৪ বছর ধরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছে। তবে সর্বশেষে প্রকল্পটির জন্য বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। প্রকল্পটির জন্য দাতা সংগ্রহে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, বরিশাল অঞ্চলে চলমান ১২টি ভাঙন রোধ প্রকল্পের আওতায় ৮ হাজার ২৯৪.১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১০৭ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ, ৯ কিলোমিটার বাঁধের ঢাল সংরক্ষণ কাজ, ৮৪.২৩ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত ও ৮৪ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন কাজ চলমান রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের শেষ সহ পরবর্তি দুটি অর্থ বছরে এসব প্রকল্পের বেশীরভাগই বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।

গত মে মাসের ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেলের জলোচ্ছ্বাসে বরিশাল অঞ্চলে ৩৮৮টি নদীতীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৮১ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষতি পুনর্বাসনে প্রায় ৮০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। পনি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল অঞ্চল থেকে জরুরী ভিত্তিতে প্রায় ২০ কিলোমিটার বাঁধ পুনর্বাসন সহ আরো ৩৭ কিলোমিটারে জরুরী মেরামত কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, বরিশাল সেচ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের পুনর্বাসনে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা ব্যায়ে ২১টি পাম্প হাউজ ও ৫১২টি টর্ন আউট নির্মান, ১৫টি অফটেক এপ্রোন পুনঃনির্মান, ৫৬টি হাইড্রেলিক স্ট্রাকচার মেরামত, প্রায় ৫ কিলোমিটার ইনটেক খাল খনন, ১৩.৬৮ কিলোমিটার সেচ খাল পুনঃখনন, ৬৬ হাজার মিটার ডাইক নির্মান ও ৬টি চেক স্ট্রাকচার পুনঃ নির্মানে ডিপিপি সংশোধন করে পুনরায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি সহ অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত ছাড়াও উজানের অসময়ের পানির ঢলের কারণে বরিশালে নদী তীর সংরক্ষণ সহ রক্ষা বাঁধ এবং পানি অবকাঠামো সমূহ সংরক্ষণে আরো টেকসই নির্মান, সংরক্ষণ ও মেরামত কাজ সম্পন্নের তাগিদ দিয়েছেন নদী বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নদীরক্ষা বাঁধ ক্ষতি হলেও নতুন প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখছেনা

বরিশালের ১৩২টি নদ-নদীর শত শত কি.মি. এলাকায় ভাঙন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সংকটের মধ্যে উজানের ঢলের পানিতে নদী বহুল বরিশালের নদ-নদী ভাঙন ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারন করছে। বরিশালের ১৩২টি ছোট বড় নদ-নদীর প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার এলাকার শত শত কিলোমিটার জুড়ে নদী ভাঙনে সর্বহারা হচ্ছে মানুষ। অনেক সরকারী-বেসরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ ফসলী জমিও নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে প্রতিবছর । কিন্তু এখনো তহবিল সংকট সহ ভাঙন রোধে প্রকল্প প্রস্তাবসমূহ দ্রুত অনুমোদন সহ তা বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ অব্যাহত আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় ভাঙন রোধে অনেকগুলো প্রকল্প সম্পন্ন এবং আরও কিছু চলমান থাকলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম বলে মন্তব্য করেছেন নদী বিশেষজ্ঞগণ ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তবে বরিশালের আরও ৬টি গুরুত্বপূর্ণস্থানে নদী ভাঙন রোধসহ বরিশালে সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসনে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা-ডিপিপি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

পাশাপাশি বরিশাল অঞ্চলের নদী সমূহের অববাহিকা ভিত্তিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা অতি সম্প্রতি অনুমোদিত হয়েছে। এ সমীক্ষার আওতায় বরিশালের বিভিন্ন ভাঙন প্রবন এলাকার ওপর পরিপূর্ণ সমীক্ষা করা হবে। ২০২৬ সনের জুনের মধ্যে এ সমীক্ষা সম্পাদন শেষে সুপারিশ সমূহের আলোকে ভাঙন প্রবন এলাকাগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলো অনুমোদনের ভিত্তিতে নদী ভাঙন রোধে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী।

এদিকে, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীর ভাঙন থেকে কাকচিরা, কালমেঘা, জিনতলা,পদ্মা ও কাঠালতলী বাজার রক্ষাসহ এবং ৩৯/১এ ও ৪০/১ পোল্ডার ও একাই নদীর ভাঙন থেকে বামনা ও কালিকাবাড়ি লঞ্চঘাট এবং ৩৯/২ এবং ৩৯/১ডি পোল্ডার অভ্যন্তরে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো নির্মানের লক্ষ্যে এক হাজার ৪১০ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পেশ করা হয়। কমিশনের নির্দেশে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার লক্ষ্যে নদী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস’র মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বলেশ্বর নদীর ভাঙন থেকে বড় মাছুয়ার স্টিমার ঘাট এলাকায় উপকূলীয় পোল্ডার ৩৯/২ডি রক্ষায় প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫শ মিটার নদী তীর সংরক্ষণের ডিপিপি পুনরায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সন্ধ্যা নদীর ভাঙন থেকে ইন্দুরহাট বন্দর সংলগ্ন লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ও সংলগ্ন এলাকা রক্ষায় ১ হাজার ১৬০ মিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজে ৪৭.৩৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পুনরায় মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরে তা পরিকল্পনা কমিশনের বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে।

এছাড়া উপকূলীয় সমুদ্র সৈকত রক্ষায় প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে ৬৮টি গ্রেয়োন নির্মান ও ২ হাজার ৭শ মিটার এলাকায় স্লিপিং ডিফেন্স নির্মানের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা কাজের পাশাপাশি আরো ৬০০ মিটার এলাকায় প্রতিরক্ষা কাজের জন্য ৭৬০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা গত প্রায় ৪ বছর ধরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছে। তবে সর্বশেষে প্রকল্পটির জন্য বৈদেশিক সহায়তার লক্ষ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। প্রকল্পটির জন্য দাতা সংগ্রহে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, বরিশাল অঞ্চলে চলমান ১২টি ভাঙন রোধ প্রকল্পের আওতায় ৮ হাজার ২৯৪.১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১০৭ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ, ৯ কিলোমিটার বাঁধের ঢাল সংরক্ষণ কাজ, ৮৪.২৩ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত ও ৮৪ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন কাজ চলমান রয়েছে। চলতি অর্থ বছরের শেষ সহ পরবর্তি দুটি অর্থ বছরে এসব প্রকল্পের বেশীরভাগই বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।

গত মে মাসের ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেলের জলোচ্ছ্বাসে বরিশাল অঞ্চলে ৩৮৮টি নদীতীর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৮১ কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ক্ষতি পুনর্বাসনে প্রায় ৮০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। পনি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল অঞ্চল থেকে জরুরী ভিত্তিতে প্রায় ২০ কিলোমিটার বাঁধ পুনর্বাসন সহ আরো ৩৭ কিলোমিটারে জরুরী মেরামত কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, বরিশাল সেচ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের পুনর্বাসনে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা ব্যায়ে ২১টি পাম্প হাউজ ও ৫১২টি টর্ন আউট নির্মান, ১৫টি অফটেক এপ্রোন পুনঃনির্মান, ৫৬টি হাইড্রেলিক স্ট্রাকচার মেরামত, প্রায় ৫ কিলোমিটার ইনটেক খাল খনন, ১৩.৬৮ কিলোমিটার সেচ খাল পুনঃখনন, ৬৬ হাজার মিটার ডাইক নির্মান ও ৬টি চেক স্ট্রাকচার পুনঃ নির্মানে ডিপিপি সংশোধন করে পুনরায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি সহ অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত ছাড়াও উজানের অসময়ের পানির ঢলের কারণে বরিশালে নদী তীর সংরক্ষণ সহ রক্ষা বাঁধ এবং পানি অবকাঠামো সমূহ সংরক্ষণে আরো টেকসই নির্মান, সংরক্ষণ ও মেরামত কাজ সম্পন্নের তাগিদ দিয়েছেন নদী বিশেষজ্ঞরা।