ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
দেশের স্বার্থে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান । তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ব্যবসায়ীদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে । সরকার অনেক বেশি চেষ্টা করছে শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে । সোমবার( ২২ জুলাই) দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান ।
তিনি আরও বলেন, এই দেশের উন্নয়নে আমাদের ব্যবসায়ী ভাইদের ভূমিকা অনস্বীকার্য । আমি নিশ্চিন্ত আমাদের সবার যতদূর চিন্তা, যিনি এসব গড়েছেন এবং আজকের বাংলাদেশকে উন্নয়নের এই পর্যায়ে এনেছেন তার( প্রধানমন্ত্রী) ঘুম হয় না । আমরা জানি, আমাদের সবার সমস্যা আছে । সবাই আমরা সমস্যায় ক্লান্ত ।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, সমস্যা থেকে উত্তরণ পেতে হলে সবাইকে এক হতে হবে । এটাও কোনো ভালো কথা নয়, আমরা আজকে ক্ষমতায়, আমাদের পণ্য তারা ছিড়ে ফেলে দেয় । আমরা প্রতিহত করি না । আমি মনে করি, বিএনপি- জামায়াত আগেও অনেক কিছু করেছে । জানি না তাদের কতদূর বিচার হয়েছে । তাদের বিচার হলে আজ সাহস পেত না । তাদের বিচারের আওতায় আনলে এমন হত না । আমি নিশ্চিত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সবাই জানেন কারা এর সঙ্গে জড়িত । সরকারি খাতের চেয়ে অনেক বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে আমাদের বেসরকারি খাত ।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাতের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না । আমরা কষ্টে আছি সবাই জানেন । সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে বলি আমাদের বাঁচান । আগে ৮০ টাকার ডলার এখন ১২০ টাকা দিতে হচ্ছে । এখানে সবার রক্তক্ষরণ হচ্ছে । আমরা সবাই ধৈর্যশীল । আমরা জানি, আমাদের সামনে উন্নয়ন আর উন্নয়ন । যে ক্ষতি করেছে, হয়তো আমাদের ৫ থেকে ৭ দিন আগে কারফিউ দেওয়া উচিত ছিল । কারফিউ আগে দেওয়া হলে ভালো হতো । প্রধানমন্ত্রী কোনোদিন চান না শক্ত অবস্থানে যাবেন । তিনি বাধ্য হয়ে গেছেন । আমরা ব্যবসায়ীরা অধৈর্য্য না হই । আমাদের সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে ।
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, আজ থেকে ১৪ বছর আগে আমি- সহ আমরা কোথায় ছিলাম? আজকে কোথায় এসেছি? সবাই এখন বড় ব্যবসায়ী । সবাই চিন্তা করেন ১৪ বছর আগে আর আজ কোথায় আমরা এসেছি । এখন ৭ দিন, ১৫ দিন, একমাস ব্যবসা বন্ধ থাকলে কিছু হবে না । কিন্তু আমাদের এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গি বাহিনী ধ্বংস করতে হবে । এ জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে । অন্যথায় আমরা ব্যবসায়ী হিসেবে টিকে থাকতে পারবো না । সবার টার্গেট বড় বড় ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করা, স্থাপনা ধ্বংস কর, মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু নষ্ট করা । গত ১৫ বছরে যত অর্জন সব অর্জন ধ্বংস করে দাও । কিন্তু কোনো লাভ হবে না । আজ শুধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একা নন, তার সঙ্গে ২০ কোটি মানুষ আছে । আমাদের ৪০ কোটি হাত আছে । যা কিছু ক্ষয়ক্ষতি করুক, আমরা প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে এগিয়ে যাবো । কোনো শক্তি আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না ।
তিনি আরও বলেন, বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসাবে আহ্বান করি, আমরা কেউ যেন ধৈর্য্য না হারাই । আমাদের ধৈর্য্যধারণ করতে হবে । বিদেশের কোনো ব্যবসায়ী এখান থেকে পণ্য নেওয়া বন্ধ করতে পারবে না । আমরা যত সস্তায় রপ্তানি করি, দুনিয়ার কোনো দেশ এত সস্তায় করে না । সুতারাং ভয়ের কোনো কারণ নেই । আমি বিশ্বাস করি ইন্টারনেটের কারণে আপনাদের মতো আমারও ক্ষতি হচ্ছে । সবার অসুবিধা, এটাকে সহজভাবে নিই । এটা কঠিনভাবে নিলে আমাদের শত্রুরা মনে করবে তারা যা করেছে, দেশটাকে স্টপ করে দিয়েছি । আমাদের কোনো হাত বন্ধ করতে পারবে না । আমাদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আছে । প্রধানমন্ত্রী, বেসরকারি খাতের উপদষ্টো সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি অনেক বেশি চেষ্টা করছেন শিগগিরই সবকিছু আবার আগের মতো পর্যায়ে নিয়ে আসতে । আমার অনুরোধ, সবাইকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসুন । না হলে সন্ত্রাসীরা প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটাবে ।