ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার’

দেবব্রত দত্ত
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না । আদালতে যখন একটি বিষয় যায়, তখন সরকার অপেক্ষা করে আদালত কি বলে, তারপর সরকারের পদক্ষেপ নেয়ার সময় হয় । তাই কোটার বিষয়ে সরকার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে । সরকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান করবে । কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিবে সরকার সেটা বিবেচনা করবে । সরকার কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার( ১৬ জুলাই) এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন ।

এসময় আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেন । এরপর ৭ থেকে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে মামলা করেন । এখন যারা কোটা আন্দোলন করছেন, তারা তো হাইকোর্টে যাননি । হঠাৎ একদিন যখন হাইকোর্টের রায়ের কথা পত্রিকায় বের হয়েছে, তখন তারা আন্দোলনে নেমে পড়েন । পরে তারা হাইকোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।

তিনি বলেন, যৌক্তিক কথা জননেত্রী শেখ হাসিনা শুনবে । জনগণের জন্য সেটা ভালো হয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী করবেন । কিন্তু তাঁর সরকার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না । সেই আদর্শ হলো- বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না । বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ অসম্মান করতে পারবে না । আমাদের এই চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে । এই চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ এবং একটি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত দেশ হিসেবে পরিচিত করার সংগ্রামে লিপ্ত হতে হবে ।

আনিসুল হক বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাংলাদেশে বিচারহীনতার জন্ম দিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করে দেওয়ার হাতিয়ার হয়েছিল । এই অধ্যাদেশ জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশে রাজাকার, আল- বদর এবং নিজামী মুজাহিদরাই থাকবে, মুক্তিযোদ্ধারা থাকবে না । ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে মি. হক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ১২ই নভেম্বর এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করে প্রমাণ করে দেন যে, বাংলাদেশের জনগণ এই অর্ডিন্যান্স সহ্য করবে ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না । আদালতে যখন একটি বিষয় যায়, তখন সরকার অপেক্ষা করে আদালত কি বলে, তারপর সরকারের পদক্ষেপ নেয়ার সময় হয় । তাই কোটার বিষয়ে সরকার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে । সরকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান করবে । কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিবে সরকার সেটা বিবেচনা করবে । সরকার কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার( ১৬ জুলাই) এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন ।

এসময় আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেন । এরপর ৭ থেকে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে মামলা করেন । এখন যারা কোটা আন্দোলন করছেন, তারা তো হাইকোর্টে যাননি । হঠাৎ একদিন যখন হাইকোর্টের রায়ের কথা পত্রিকায় বের হয়েছে, তখন তারা আন্দোলনে নেমে পড়েন । পরে তারা হাইকোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।

তিনি বলেন, যৌক্তিক কথা জননেত্রী শেখ হাসিনা শুনবে । জনগণের জন্য সেটা ভালো হয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী করবেন । কিন্তু তাঁর সরকার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না । সেই আদর্শ হলো- বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না । বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ অসম্মান করতে পারবে না । আমাদের এই চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে । এই চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ এবং একটি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত দেশ হিসেবে পরিচিত করার সংগ্রামে লিপ্ত হতে হবে ।

আনিসুল হক বলেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাংলাদেশে বিচারহীনতার জন্ম দিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করে দেওয়ার হাতিয়ার হয়েছিল । এই অধ্যাদেশ জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশে রাজাকার, আল- বদর এবং নিজামী মুজাহিদরাই থাকবে, মুক্তিযোদ্ধারা থাকবে না । ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে মি. হক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ১২ই নভেম্বর এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করে প্রমাণ করে দেন যে, বাংলাদেশের জনগণ এই অর্ডিন্যান্স সহ্য করবে ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ ।