ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোটা বাতিলের আন্দোলনে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের শহর বাইপাস আশেকপুর এলাকায় অবস্থান করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

অবরোধের ফলে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ছাত্র সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অনেকের হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন ছিল।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল। পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রæত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে ‘কোটা সংস্কার’ করা। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।

মহাসড় অবরোধ চলাকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন বাংলায় সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে, তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছেন। দেশে বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় ভুগছেন। এদিকে কোটা চাকরিতে বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছেন। অথচ কোটাধারী শিক্ষার্থীরা সুবিধা পাচ্ছেন। তাই তাঁরা বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চান। চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিষফোড়ার মতো।

বিক্ষোভের সময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দুই ঘন্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, ‌ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে দুপুর ১২টার দিকে সরে গেছেন। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোটা বাতিলের আন্দোলনে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের শহর বাইপাস আশেকপুর এলাকায় অবস্থান করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘন্টাব্যাপী তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

অবরোধের ফলে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ছাত্র সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় অনেকের হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন ছিল।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল। পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রæত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে ‘কোটা সংস্কার’ করা। কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।

মহাসড় অবরোধ চলাকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন বাংলায় সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে, তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছেন। দেশে বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় ভুগছেন। এদিকে কোটা চাকরিতে বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছেন। অথচ কোটাধারী শিক্ষার্থীরা সুবিধা পাচ্ছেন। তাই তাঁরা বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চান। চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিষফোড়ার মতো।

বিক্ষোভের সময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। দুই ঘন্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, ‌ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক থেকে দুপুর ১২টার দিকে সরে গেছেন। পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।