ডিআইজি জামিলের অবৈধ সম্পত্তি, অনুসন্ধানে দুদকে আবেদন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে
ডিআইজি জামিল হাসানের অবৈধ সম্পত্তি অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে ( দুদক) আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এডভোকেট মো. জিয়া উদ্দিন এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, আমি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও একজন সচেতন নাগরিক। মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
গত ২২ জুন দৈনিক ইত্তেফাকে ‘ডিআইজি জামিল হাসান যেন আরেক ভূস্বামী’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিআইজি জামিল হাসান ২০২১ সালে র্যাব-৮ এর বরিশালে কমান্ডিং অফিসার হিসেবে চাকরিরত অবস্থায় গোপালগঞ্জের সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের জমি কিনতে তদারকি করেন। এ অবস্থায় ডিআইজি জামিল হাসানের বিষয়ে বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পত্তি অনুসন্ধানের সাথে সম্পৃক্ত করে তার অবৈধ সম্পত্তির বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যথাযথ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি জামিল হাসান রিসোর্ট করার জন্য উজিরপুরের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের একটি মাঠ কিনেছেন। সেখানে তিনি একটি রিসোর্ট বানানোর কার্যক্রম শুরু করেছেন। ১২০ বিঘার মতো জমি কিনেছেন গত কয়েক বছরে।
বর্তমানে ওই জমির একটা অংশ ভরাট করে মুরগি পালন করেন দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মী। এর পাশেই আছে অন্তত ৩৬ বিঘা জমির উপর গরুর খামার। তার সাথে রয়েছে গরুর হাট, যে হাট থেকে ইজারা নেন তারাই। তার এসব জমি বরিশালের উজিরপুর উপজেলায়। এর বাইরে ঢাকায় রয়েছে দু’টি ফ্ল্যাট। এর একটিতে তার পরিবার বসবাস করে।
বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে ২০তম ব্যাচে এএসপি হিসেবে জামিল হাসান যোগদান করেন। ২০২১ সালে তিনি র্যাব-৮ এর (বরিশাল) কমান্ডিং অফিসার হিসেবে চাকরি করার সময় গোপালগঞ্জে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের জমি কেনায় তদারকি করেছেন। সে সময়ের পুলিশ প্রধানের বিশ্বস্ত হওয়ার কারণে তার প্রভাব ছিল অনেক বেশি।