ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ, দু’দিন পর বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর বাবা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলের দিকে টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর দমদমিয়া কেয়ারি জাহাজ ঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নৌ-পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।মৃতরা হলো- নুর উল্লাহ (৩৭) এবং রুহুল আমিন (১৩)।

নৌ-পুলিশের ইনচার্জ তপন বলেন, ছালামত উল্লাহ ও তার ছেলে রুহুল আমিন নাফ নদীতে নিয়মিত মাছ ধরতেন। নাফ নদীর কিনারা ঘেষে তারা টানা জাল দিয়ে মাছ আহরণ করতেন। গত সোমবার সকালে বাবা-ছেলে মিলে প্রতিদিনের মতো মাছ ধরতে যায়। একপর্যায়ে স্রোতের টানে ছেলে রুহুল আমিন ভেসে যায়। এসময় ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবাও ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরো বাবা-ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাননি। পরে মঙ্গলবার সকালে স্বজনরা নৌ-পুলিশের কাছে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবহিত করেন। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে টেকনাফে নাফ নদীর দমদমিয়া কেয়ারি জাহাজ ঘাটে দু’জনের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা নৌ-পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে দেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ, দু’দিন পর বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর বাবা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলের দিকে টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর দমদমিয়া কেয়ারি জাহাজ ঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নৌ-পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।মৃতরা হলো- নুর উল্লাহ (৩৭) এবং রুহুল আমিন (১৩)।

নৌ-পুলিশের ইনচার্জ তপন বলেন, ছালামত উল্লাহ ও তার ছেলে রুহুল আমিন নাফ নদীতে নিয়মিত মাছ ধরতেন। নাফ নদীর কিনারা ঘেষে তারা টানা জাল দিয়ে মাছ আহরণ করতেন। গত সোমবার সকালে বাবা-ছেলে মিলে প্রতিদিনের মতো মাছ ধরতে যায়। একপর্যায়ে স্রোতের টানে ছেলে রুহুল আমিন ভেসে যায়। এসময় ছেলেকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবাও ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরো বাবা-ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাননি। পরে মঙ্গলবার সকালে স্বজনরা নৌ-পুলিশের কাছে বিষয়টি মৌখিকভাবে অবহিত করেন। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে টেকনাফে নাফ নদীর দমদমিয়া কেয়ারি জাহাজ ঘাটে দু’জনের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা নৌ-পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে দেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।