মতিউরের সম্পদের হিসাব দিতে হবে ২১ দিনের মধ্যে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার দুই স্ত্রী এবং সন্তানদের সম্পদের হিসাব বিবরণীর জন্য নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে হিসাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে রাজধানীর দু’দক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সংস্থার সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন।
মতিউর ছাড়া অন্যরা হলো- মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্নব, মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিবলী।
এর আগে, চলতি বছরের ৩০ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ক্রয়কৃত কোনো জমি রয়েছে কিনা, তা জানতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি দেয় দুদক।
জানা গেছে, মতিউরের বিরুদ্ধে এর আগে ৪ বার দুর্নীতির অভিযোগ পায় দু’দক। কিন্তু প্রতিবারই বিভিন্ন কৌশলে প্রভাব বিস্তার করে দুর্নীতির অভিযোগে ক্লিন চিট পেয়েছিলেন তিনি।
মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম দু’দকে অভিযোগ হয় ২০০৪ সালে। সেই সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের। অভিযোগ রয়েছে, হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা টাকা প্রবাসী কোনো এক আত্মীয়র মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে তা রেমিট্যান্স বাবদ দেখিয়ে দিয়েছিলেন ট্যাক্স ফাইলে।
এরপর ২০০৮ সালে দু’দকে অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে। এবার অভিযোগ বিলাসবহুল পণ্যের শুল্ক মাফ করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন। কিন্তু তদন্ত শুরু হতে না হতেই প্রভাবশালীদের চাপে তা চাপা পড়ে যায়। ক্লিন চিট পান ক্ষমতাশালী মতিউর। এরপর ২০১৩ ও ২০২১ সালে আরো দুবার দু’দকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগ ছিলো অবৈধ সম্পদ ও সম্পত্তির। কিন্তু কৌশলী ও প্রভাবশালী মতিউর অবৈধ সম্পদকে পারিবারিক ব্যবসা ও ঋণ দেখিয়ে প্রস্তুত করেন ট্যাক্স ফাইল। ফলে আবারো ক্লিন চিট।
তবে পঞ্চমবারে তদন্তে নেমে দু’দক আগের ৪ বারের প্রতিটি বিষয়ে পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছে। একই সাথে যাদের মাধ্যমে দায়মুক্তি পেয়েছে মতিউর, তাও খতিয়ে দেখার কথা জানায় দুদক।
কোরবানীর ঈদে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর পর এনবিআরের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।