পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা শামসুদ্দোহার সম্পদের পাহাড়
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পুলিশের আরেক সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার । তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানারও রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র তথ্যমতে, শামসুদ্দোহা খন্দকার দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এক হাজার ২৭ শতক জমি রয়েছে তাদের নামে। কাগজপত্রে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এর বাজারদর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বেশি। গত ১৮ মার্চ আদালত এসব সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আ্দালত। এর পরদিন তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করলে ওই আদেশ স্থগিত হয়ে যায়।
শামসুদ্দোহা খন্দকার ঢাকার গুলশানে অন্তত ২০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি ও বাড়ি নিজের করে নিতে নানা ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি ২০১১ সালে প্রেষণে বিআইডব্লিউটিএ;র চেয়ারম্যান পদে বসেন। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দু’দক। ওই মামলায় স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাও আসামি। মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে। এছাড়া তার নামে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যও রয়েছে। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মালিকদের অন্যতম একজন। ২০২১-২২ সালের পরিষদে শামসুদ্দোহা ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান।
রাজধানীর খিলক্ষেত ও ঢাকার নবাবগঞ্জে ৩৫টি দলিলে ৫৬৩ শতকের বেশি জমির খোঁজ পাওয়া যায় শামসুদ্দোহার নামে দু’দকের তদন্তে। এসব জমির বেশির ভাগই নবাবগঞ্জের কলাকোপায়। দলিলে এসব স্থাবর সম্পদের দাম ৪০ কোটির মতো। তবে এর বর্তমান ম্যল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। তার একটি কৃষিখামার ও গ্রিন পার্কও রয়েছে। দলিলে এই দুটির দাম প্রায় চার কোটি টাকা।
শামসুদ্দোহার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের নামে রাজধানীর নিকুঞ্জে ৩ কাঠা, খিলক্ষেতে ২২ কাঠা, গুলশানের বিভিন্ন মৌজায় ৫৩ কাঠা জমির তথ্য পেয়েছে দু’দক। গাজীপুর ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন মৌজায় মোট ৩২টি দলিলে তার নামে ৪৬৪ শতক জমি রয়েছে। দলিলে এসব জমির দাম ৩০ কোটি টাকার কিছু বেশি। বর্তমান বাজারদর শতকোটি টাকার ওপরে।
গুলশানের ১৩৫ নম্বর রোডের এসইএস (এ) ৬ নম্বর প্লটে এক বিঘা জমির ওপর নির্মিত ডুপ্লেক্স বাড়ির বাজারদর ২০০ কোটি টাকার বেশি। গত ৮ বছর সেই সরকারি বাড়িটি অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন পুলিশের সাকেক কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা। এই সময়ে তিনি কোনো ভাড়া দেনইনি। বরং বাড়িটি বরাদ্দ পেতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদে আবাসন পরিদপ্তর একবার ম্যাজিস্ট্রেটও নিয়োগ দেয়। তবে পুলিশের প্রভাবশালী লোক হওয়ায় সে প্রক্রিয়াও থমকে যায়।
আরও জানা গেছে, শামসুদ্দোহার এক মেয়ে ও ছোট ছেলে কানাডায় পড়াশোনা করছে। বেনজীরকাণ্ড নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ওঠার পর, পরিবার নিয়ে কানাডা গেছেন তিনি।