ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ইতিবাচক মনে করছেন নীলফামারীবাসী

নীলফামারী প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রনায়ক দ্বিপক্ষীয় আনুষ্ঠানিক আলোচনায় পন্যবাহি ট্রেন চলাচলে বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহার করতে চায় ভারত। এ আলোচনার সাধুবাদ জানিয়েছেন নীলফামারী’র সর্বস্তরের মানুষজন। ভারতের জলপাইগুড়ি’র নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ক্যান্টমেন্ট রেলস্টেশন পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহি ট্রেন অপরটি ও পন্যবাহি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে।

তবে এই রেলপথের চিলাহাটি রেল স্টেশনে শুল্ক চেকপোষ্ট ও ইমেগ্রেশন পয়েন্ট চালু না হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত-চলাচলকারী ট্রেন দু’টোর সুফল ভোগ করতে পাচ্ছেনা নীলফামারী জেলার মানুষজন।এ রেলপথের চিলাহাটি স্টেশনে অবিলম্বে শুল্ক চেকপোষ্ট ও ইমেগ্রেশন পয়েন্ট চালু করার দাবী উঠেছে সর্বমহলে।

জানাগেছে,সম্প্রতি বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মদি দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানিক আলোচনায় উভয় দেশের সম্পর্ক সুসংহত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরশপর সহযোগিতা জোরদার করতে ১০টি সমঝোতা স্বরকে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

এ আলোচনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা থেকে জানা গেছে:পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে ভুটানের সীমান্তবর্তী ডালগাওঁ পর্যন্ত পন্যবাহী ট্রেন চালু করতে চায় ভারত।তবে এ রেলপথে দুরত্ব বেশী হওয়ায় বাংলাদেশের ৩৬৮ কিলোমিটার ভুখন্ড ব্যবহার করতে চায় ভারত।দু’দেশের সরকার প্রধানের দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানিক আলোচনার রেলপথটি বাংলাদেশের দর্শনা স্থলবন্দ অতিক্রম করে দর্শনা স্টেশন হয়ে ইশ্বরদী-আব্দুল্লাহপুর-পার্বতীপুর-ও চিলাহাটি সীমান্ত দিয়ে পন্যবাহী ট্রেনটি ভারতের হলদীবাড়ী সীমান্ত দিয়ে চলাচল করবে। বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকে ইতিবাচন হিসাবে মনে করছেন নীলফামারী জেলার সর্বস্তরের মানুষজন।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সরকার ভারতের দালজিলিং থেকে বাংলাদেশের দর্শনা পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করে যাত্রবাহী ও পন্যবাহী ট্রেন চলাচল করতো।১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় চিলাহাটি-হলদীবাড়ী রেলপথটি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।এরপর ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সীমান্ত চেকপোষ্ট উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এই রেল ও স্থলবন্দরটি ২০০৪ সাল পর্যন্ত শুল্ক চেকপোষ্ট ও ইমেগ্রেশন অফিস চালু ছিল।২০০৮ সালে বাংলাদেশ সীমান্ত চিলাহাটি ও ভরতের সীমান্ত হরদীবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ ট্রেনজিট পয়েন্টটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

চিলাহাটি স্থলবন্দর ও রেলপথ স্থাপনের নেতৃত্বদাণকারী সংগ্রামী নের্তা আবু মুসা এ প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদীবাড়ী রেলপথটি পুনরায় চালু করার জন্য নীলফামারী জেলার সর্বস্তরের মানুষজন আন্দোলন-সংগ্রম জোড়ালো হয়ে উঠলে।এ পরিস্থিতি সামলাতে ২০১৫ সালে ২৮ জারুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সরকারের আওয়ামীলীগ সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়েনের মুক্তির হাটে বিশাল জনসভায় চিলাহাটি স্থল বন্ধর ও রেলপথ ট্রেনজিট চালুর ঘোষনা দেন তিনি। ২০১৩ সালে চিলাহাটি স্থল বন্দের ও রেলপথ ট্রেনজিট বাস্তবায়নের গেজেট প্রকাশিত হয়।বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশ সরকার নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ৮ দশমিক ১০ কিলোমিটার ও ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গের ৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার হলদীবাড়ী থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করে।

এই রেলপথে যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ও পন্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে।তবে এই দুটো ট্রেন নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে চলাচল করলেও এ উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পাচ্ছে না নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষজন।চিলাহাটি স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ ও শুল্ক চেকপোষ্ট ইমেগ্রেশন অফিস চালু হলে নীলফামারী সহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ইতিবাচন প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

উন্নয়নের কান্ডারী বঙ্গবন্ধুর সুযগ্যে কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ অঞ্চলের গণমানুষের একটাই দাবী বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করে অবিলম্বে চিলাহাটি স্থল বন্দর ও রেলপথ ট্রেনজিট যথাযথ ব্যবহারে শুল্ক চেকপোষ্ট ও ইমেগ্রেশন চালু করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ইতিবাচক মনে করছেন নীলফামারীবাসী

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

বাংলাদেশ ও ভারতের রাষ্ট্রনায়ক দ্বিপক্ষীয় আনুষ্ঠানিক আলোচনায় পন্যবাহি ট্রেন চলাচলে বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহার করতে চায় ভারত। এ আলোচনার সাধুবাদ জানিয়েছেন নীলফামারী’র সর্বস্তরের মানুষজন। ভারতের জলপাইগুড়ি’র নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ক্যান্টমেন্ট রেলস্টেশন পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহি ট্রেন অপরটি ও পন্যবাহি ট্রেন নিয়মিত চলাচল করছে।

তবে এই রেলপথের চিলাহাটি রেল স্টেশনে শুল্ক চেকপোষ্ট ও ইমেগ্রেশন পয়েন্ট চালু না হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত-চলাচলকারী ট্রেন দু’টোর সুফল ভোগ করতে পাচ্ছেনা নীলফামারী জেলার মানুষজন।এ রেলপথের চিলাহাটি স্টেশনে অবিলম্বে শুল্ক চেকপোষ্ট ও ইমেগ্রেশন পয়েন্ট চালু করার দাবী উঠেছে সর্বমহলে।

জানাগেছে,সম্প্রতি বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মদি দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানিক আলোচনায় উভয় দেশের সম্পর্ক সুসংহত করার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরশপর সহযোগিতা জোরদার করতে ১০টি সমঝোতা স্বরকে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

এ আলোচনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারনা থেকে জানা গেছে:পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে ভুটানের সীমান্তবর্তী ডালগাওঁ পর্যন্ত পন্যবাহী ট্রেন চালু করতে চায় ভারত।তবে এ রেলপথে দুরত্ব বেশী হওয়ায় বাংলাদেশের ৩৬৮ কিলোমিটার ভুখন্ড ব্যবহার করতে চায় ভারত।দু’দেশের সরকার প্রধানের দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানিক আলোচনার রেলপথটি বাংলাদেশের দর্শনা স্থলবন্দ অতিক্রম করে দর্শনা স্টেশন হয়ে ইশ্বরদী-আব্দুল্লাহপুর-পার্বতীপুর-ও চিলাহাটি সীমান্ত দিয়ে পন্যবাহী ট্রেনটি ভারতের হলদীবাড়ী সীমান্ত দিয়ে চলাচল করবে। বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকে ইতিবাচন হিসাবে মনে করছেন নীলফামারী জেলার সর্বস্তরের মানুষজন।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সরকার ভারতের দালজিলিং থেকে বাংলাদেশের দর্শনা পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করে যাত্রবাহী ও পন্যবাহী ট্রেন চলাচল করতো।১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় চিলাহাটি-হলদীবাড়ী রেলপথটি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।এরপর ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সীমান্ত চেকপোষ্ট উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এই রেল ও স্থলবন্দরটি ২০০৪ সাল পর্যন্ত শুল্ক চেকপোষ্ট ও ইমেগ্রেশন অফিস চালু ছিল।২০০৮ সালে বাংলাদেশ সীমান্ত চিলাহাটি ও ভরতের সীমান্ত হরদীবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ ট্রেনজিট পয়েন্টটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

চিলাহাটি স্থলবন্দর ও রেলপথ স্থাপনের নেতৃত্বদাণকারী সংগ্রামী নের্তা আবু মুসা এ প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদীবাড়ী রেলপথটি পুনরায় চালু করার জন্য নীলফামারী জেলার সর্বস্তরের মানুষজন আন্দোলন-সংগ্রম জোড়ালো হয়ে উঠলে।এ পরিস্থিতি সামলাতে ২০১৫ সালে ২৮ জারুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সরকারের আওয়ামীলীগ সরকারের নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়েনের মুক্তির হাটে বিশাল জনসভায় চিলাহাটি স্থল বন্ধর ও রেলপথ ট্রেনজিট চালুর ঘোষনা দেন তিনি। ২০১৩ সালে চিলাহাটি স্থল বন্দের ও রেলপথ ট্রেনজিট বাস্তবায়নের গেজেট প্রকাশিত হয়।বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশ সরকার নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ৮ দশমিক ১০ কিলোমিটার ও ভারত সরকার পশ্চিমবঙ্গের ৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার হলদীবাড়ী থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন করে।

এই রেলপথে যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ও পন্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে।তবে এই দুটো ট্রেন নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে চলাচল করলেও এ উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পাচ্ছে না নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষজন।চিলাহাটি স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ ও শুল্ক চেকপোষ্ট ইমেগ্রেশন অফিস চালু হলে নীলফামারী সহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ইতিবাচন প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

উন্নয়নের কান্ডারী বঙ্গবন্ধুর সুযগ্যে কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ অঞ্চলের গণমানুষের একটাই দাবী বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করে অবিলম্বে চিলাহাটি স্থল বন্দর ও রেলপথ ট্রেনজিট যথাযথ ব্যবহারে শুল্ক চেকপোষ্ট ও ইমেগ্রেশন চালু করা হয়।