অস্থির আলুর বাজার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:০০:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে
অস্থির আলুর বাজার। বাজারে কেজিতে আলুর দাম ঠেকেছে ৬৫-৭০। এর নেপথ্যে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলে অভিযোগ ভোক্তাদের। এবছর মৌসুমের শুরু থেকেই আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের অস্থিরতা যেন থামছেই না। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও, বিক্রি করা হচ্ছে বেশিতে।
আরও পড়ুন : সাংবাদিক নিয়োগ দেবে বাংলা টাইমস
এদিকে, ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে সরবরাহ না থাকায় আলুর দাম বেড়েছে। তে সে কথা মানতে নারাজ ক্রেতারা। তারা বলছেন, পর্যাপ্ত আলু থাকা সত্বেও মজুতদাররা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অস্থিতিশীল করছে বাজার। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি করেন তারা।
শুক্রবার (২৮ জুন) সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০টা পর্যন্ত বেড়েছে আলুর দাম। হিমাগারে যে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। সেই আলু খুচরা বাজারে তার দাম গিয়ে ঠেকছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। অভিযোগ রয়েছে, হিমাগারে আলু মজুত রেখে ইচ্ছামতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
দেশে আলু উৎপাদনের র্শীর্ষ জেলা মুন্সিগঞ্জ। এখানে এ বছর মৌসুমের শুরু থেকেই চড়া দাম ছিলো। গত বছর জমিতে ১০ থেকে ১২টাকায় আলু বিক্রি হলেও এবছর তা হয় ২৮ থেকে ৩০ টাকায়।
দেশের শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলা জয়পুরহাট। চলতি বছর ৩৮ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমি থেকে পাওয়া যায় ৮ লাখ মেট্রিক টন আলু। এসব আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে সংগ্রহ করেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। মজুতের পর এই আলু এখন হিমাগার থেকে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। খুচরা বাজারে সেই আলুর দাম ৭০ টাকা।
নীলফামারীর কৃষি বিপণন কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন, আলুর বাজার উর্ধ্বমুখি রোধে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। হিমাগারের কারণে যাতে কোনো সংকট সৃষ্টি না হয় এ ব্যাপারে আমরা তাদের অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে বগুড়ায় আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায়। বগুড়াসহ আশপাশের ৪২টি হিমাগারে আলু মজুত রয়েছে তিন লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন।