হামলায় আহত আ’ লীগ নেতা বাবুলের মুত্যু, এলাকায় বিক্ষোভ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৪:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর বাঘায় মানববন্ধনে হামলায় আহত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা গেছেন। বুধবার (২৬ জুন) বিকেল ৪টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিতিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আশরাফুল ইসলাম বাবুল উপজেলার গাওপাড়া গ্রামের আমির হোসেন আমুর ছেলে। তার মিত্যুর খবর পেয়ে বাঘায় ক্ষুনিদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, শনিবার (২২ জুন) বাঘার পৌর মেয়র আক্কাস আলীর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বে”ছাচারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সকাল ১০টায় বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। অপরদিকে ঠিক একই সময়ে উপজেলা নাগরিক কমিটির ব্যানারে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের আধিপত্য বিস্তার ও অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা করেন আক্কাস আলী ও তার সমার্থকরা।
ওইদিন উপজেলা চত্বরের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়ানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মাথায় বাঘা পৌর সভার মেয়র আক্কাস আলী, তার ভাগনা পাকুড়িয়া (ইউপি চেয়ারম্যান) মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দেস ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম মুক্তার নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত ক্যাডার বাহিনী-সহ আরো অনেকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লোহার পাইপ, ইট এবং পাথরের টুকরা নিয়ে ঐ মানববন্ধনের হামলা চালায়। এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম বাবুল সহ একই গ্রুপের ২০ জন আহত হয়। আপর দিকে আক্কাছ গ্রুপের আহত হয় পাঁচ জন। এদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে রামেক হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। ভর্তির তিনদিন পর বুধবার বিকেলে মারা যান তিনি।
এদিকে, আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা যাবার খবর পেয়ে বুধবার (২৬ জুন) বিকেল উপজেলা আ’লীগ তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় ব্যারিকেট দিয়ে মেয়র আক্কাছ আলী সহ ক্ষুনিদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও টায়ের জালিয়ে দিয়েছেন। তাদের একটায় দাবি ,আক্কাছ আলীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। খবর পেয়ে বাঘা থানা পুলিশ ঘটনাস্থালে গিয়ে রাস্তা স্বচল করেন। তবে পরিস্তিতি থম-থমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শনিবার মানববন্ধনে হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আাইনে মামলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। অন্য আসামীদের গ্রেফতাদের চেষ্টা চলছে।