তিস্তায় পানি বাড়ছে, ডুবছে ঘরবাড়ি-ফসলি জমি
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৬:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪ ১২১ বার পড়া হয়েছে
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। এর ফলে দেখা দিয়েছে বন্যা। পানি প্রবেশ করছে তিস্তার চরের বেশ কিছু ঘরবাড়িতে। ডুবে গেছে ফসলি জমিও । এ নিয়ে কপালে চিন্তার ভাজঁ পড়েছে চরের মানুষ ও কৃষকদের।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ৫১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি প্রবাহ বেড়ে একই পয়েন্টে দুপুর ১২টা থেকে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এই সময় তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচে। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ১৪ জুন (শুক্রবার) দুপুর থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরে রাতে পানি প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পায়।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই পানি প্রবেশ করায় নদী তীরবর্তী কিছু কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।
জানা গেছে, তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, কালমাটি, গোকুন্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, পলাশী ইউনিয়ন, শৈইলমারী, নোহালী, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন,দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, পাটিকাপাড়া, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় এ বিষয়ে জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উজানের পানি ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিবে।