নিত্যপণ্য নিয়ে ‘বার আউলিয়া’ সেন্টমার্টিনে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
বিভিন্ন ধরণের ভোগ্য ও নিত্যপণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে বার আউলিয়া নামে একটি জাহাজ। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। জাহাজটিতে কিছু সংখ্যক যাত্রীও গেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন এ বিষয়ে জানান, দ্বীপের ব্যবসায়ীদের সাথে সমন্বয় করে জাহাজটি পাঠানো হয়েছে। এটি বঙ্গোপসাগর দিয়ে টেকনাফ পৌঁছে ঘোলারচর হয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে। পণ্য সামগ্রীর পাশাপাশি কক্সবাজারে আটকা পড়া সেন্টমার্টিনের দুই শতাধিক বাসিন্দাও এই জাহাজে করে ফিরছেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এমভি বার আউলিয়া জাহাজে তোলা হচ্ছে চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ নানা ধরনের ভোজ্যপণ্য। একই সাথে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারাও জড়ো হচ্ছেন নিজ এলাকায় ফেরার জন্য।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, চাল, তেল, ডাল, লবণ, কাঁচা শাক-সবজি সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে। আজ (শুক্রবার) এসব খাদ্যপণ্য নিয়ে যাচ্ছি।
জাহাজের কক্সবাজারের প্রতিনিধি হোসাইন ইসলাম জানান, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়তকারী নৌযান লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের কারণে নৌযান বন্ধ থাকার ফলে দ্বীপে খাদ্যপণ্য সংকট হচ্ছে। গত বুধবার প্রশাসনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে জাহাজটি পণ্য নিয়ে দ্বীপে যাচ্ছে। এটি প্রশাসন যতোদিন চলাচল করতে বলবে ততোদিন যাত্রা করবে।
সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ সেন্টমার্টিন নৌরুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে দ্বীপটিতে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কক্সবাজার থেকে খাদ্যপণ্য নিয়ে জাহাজ আসছে। একই সাথে কক্সবাজারে আটকে পড়া বাসিন্দারাও ফিরছেন।
টেকনাফ ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর ১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে তিনটি ট্রলারযোগে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিরাপত্তায় অন্তত ৩ শতাধিক মানুষ টেকনাফের উদ্দেশে যাত্রা করে। বিকাল ৩টার দিকে ট্রলারগুলো টেকনাফের মুন্ডারডেইল সাগর উপকূলে পৌঁছে। কিন্তু সাগরের প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে এসব ট্রলার থেকে লোকজনকে সরাসরি কুলে ওঠানো সম্ভব হচ্ছিল না। পরে কয়েকটি ডিঙি নৌকা করে তাদের কুলে আনা হয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদীয়া পয়েন্টে বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ করে মিয়ানমারের ওদিক থেকে কয়েক দফা গুলি ছোঁড়া হয়। এ ঘটনায় এক সপ্তাহ থেকে ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় কক্সবাজার থেকে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল শুরু করা হয়।