ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুবককে কুপিয়ে হত্যা/ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন

শাহ জালাল, বরিশাল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন (৪০) তার ভাই দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার (৪৫) সহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অঅদালত।

বুধবার (১২ জুন) ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

মামলায় অপর সাজাপ্রাপ্তরা হলো- কবির হোসেনের ভাগ্নে সাঈদুল ইসলাম (৩০) ও ফারুক মল্লিক (৪৫)। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১০ আসামীকে খালশ প্রদান করা হয়। ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত কৌসুলি আব্দুল মান্নান রসুল রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কবির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন নলছিটি উপজেলার দক্ষিণ কামদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক এমএলএ মরহুম মোকিম হাওলাদারের ছেলে এবং ফারুক মল্লিক পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের সুলতান মল্লিক ও সাইদুল ইসলাম খান মধ্য কামদেবপুর গ্রামের মনিরুল খানের ছেলে।

মামলা সূত্রে প্রকাশ, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ দুপুর একটায় নাচনমহল ব্রিজের ঢালে মামলার বাদী নলছিটি উপজেলার নাচনমহল গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ তালুকদার এর ছেলে সাইদুল ইসলাম তালুকদার (৩৫) কে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা কুপিয়ে হত্যা করে। একই সময় নিহত সাঈদুলের বোন আকলিমা বেগম ও ভাগ্নে রুম্মানকে কুপিয়ে আহত করা।

এ ঘটনায় নিহত সাঈদুলের বাবা আব্দুল আজিজ তালুকদার বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মং চেনলা ২০২০ সালের ২৮ মার্চ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।

সিআইডি পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে, নিহত কানবালা সাইদুল ও আসামী কবির হোসেন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল এবং একসময় সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদার ও নিহত সাঈদুল এক সাথেই নানা অপকর্ম করত। নিহত সাঈদুল কবির হোসেনের ছত্রছায়া থেকে বের হয়ে গেলে প্রতিহিংসার সূত্র ধরেই কবির হোসেন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সরকার পক্ষে পিপি আব্দুল মান্নান রসুল ও আসামীপক্ষে এড. নাসির উদ্দিন কবির মামলা পরিচালনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যুবককে কুপিয়ে হত্যা/ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন (৪০) তার ভাই দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার (৪৫) সহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অঅদালত।

বুধবার (১২ জুন) ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

মামলায় অপর সাজাপ্রাপ্তরা হলো- কবির হোসেনের ভাগ্নে সাঈদুল ইসলাম (৩০) ও ফারুক মল্লিক (৪৫)। রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১০ আসামীকে খালশ প্রদান করা হয়। ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত কৌসুলি আব্দুল মান্নান রসুল রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কবির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন নলছিটি উপজেলার দক্ষিণ কামদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সাবেক এমএলএ মরহুম মোকিম হাওলাদারের ছেলে এবং ফারুক মল্লিক পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের সুলতান মল্লিক ও সাইদুল ইসলাম খান মধ্য কামদেবপুর গ্রামের মনিরুল খানের ছেলে।

মামলা সূত্রে প্রকাশ, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ দুপুর একটায় নাচনমহল ব্রিজের ঢালে মামলার বাদী নলছিটি উপজেলার নাচনমহল গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ তালুকদার এর ছেলে সাইদুল ইসলাম তালুকদার (৩৫) কে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা কুপিয়ে হত্যা করে। একই সময় নিহত সাঈদুলের বোন আকলিমা বেগম ও ভাগ্নে রুম্মানকে কুপিয়ে আহত করা।

এ ঘটনায় নিহত সাঈদুলের বাবা আব্দুল আজিজ তালুকদার বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মং চেনলা ২০২০ সালের ২৮ মার্চ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।

সিআইডি পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করে, নিহত কানবালা সাইদুল ও আসামী কবির হোসেন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল এবং একসময় সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদার ও নিহত সাঈদুল এক সাথেই নানা অপকর্ম করত। নিহত সাঈদুল কবির হোসেনের ছত্রছায়া থেকে বের হয়ে গেলে প্রতিহিংসার সূত্র ধরেই কবির হোসেন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সরকার পক্ষে পিপি আব্দুল মান্নান রসুল ও আসামীপক্ষে এড. নাসির উদ্দিন কবির মামলা পরিচালনা করেন।