সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা, পুলিশ কনস্টেবল ৭ দিনের রিমান্ডে
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর বারিধারায় ডিপ্লোমেটিক জোনে এক পুলিশের গুলিতে আরেক পুলিশ নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি পুলিশ কাওসার আলীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৯ জুন) কাওসার আলীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদ ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, শনিবার (৮ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে আরেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। নিহত পুলিশ সদস্য ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন নামে জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক আহত হয়েছেন। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মনিরুল হকের ভাই মো. মাহাবুবুল হক রোববার (৯ জুন) গুলশান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কনস্টেবল কাওসার আলীকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত মনিরুলের ভাই মাহাবুবুল হকও পুলিশ সদস্য। তিনি কনস্টেবল পদে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় কর্মরত রয়েছেন। তাদের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হক। তাদের বাড়ি নেত্রকোনায়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ, শনিবার (৮ জুন) ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশনে কনস্টেবল মো. কাওছার আলীর সাথে দায়িত্ব পালন করছিলেন কনস্টেবল মনিরুল হক। রাত ১১টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত তাদের সশস্ত্র অবস্থায় দায়িত্ব পালনের কথা ছিলো। তবে রাত পৌনে ১২টার দিকে কাওছার আলীর সাথে মনিরুল হকের বাকবিতণ্ডা হয়।
এজাহারে মাহাবুবুল হক বলেন, বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে কাওছার উত্তেজিত হয়ে তার নামে ইস্যুকৃত অস্ত্র দিয়ে আমার ভাই মনিরুলকে উদ্দেশ্যে করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। কাওছারের গুলিতে আমার ভাই ফিলিস্তিন দূতাবাসের পুলিশ বক্সের সামনে উপুড় হয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় জাপান অ্যাম্বাসির কর্মরত ড্রাইভার মো. সাজ্জাত হোসেনও বাম হাতে একটি ও পেটে দুটি গুলিবিদ্ধ হন।