ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা চেম্বার আদালতেও বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালতও। এ নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি আগামী ৪ জুলাই। রোববার (৯ জুলাই) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এর আগে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে।

গত বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান ব‌লেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের বিষয়ে দায়ের করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে। হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।

এরপর সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার (৯ জুন) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়।

২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিলো। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ জেলা ১০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ বরাদ্দ ছিলো। শিক্ষার্থীদের একটি অংশের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করে মন্ত্রিসভা। এরপর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখে সরকার।

এরপর মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা চেম্বার আদালতেও বহাল

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালতও। এ নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি আগামী ৪ জুলাই। রোববার (৯ জুলাই) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এর আগে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে।

গত বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান জামান ব‌লেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের বিষয়ে দায়ের করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে। হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।

এরপর সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার (৯ জুন) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়।

২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিলো। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ জেলা ১০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ বরাদ্দ ছিলো। শিক্ষার্থীদের একটি অংশের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চাকরিতে কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করে মন্ত্রিসভা। এরপর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখে সরকার।

এরপর মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিলো।