ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি আনার হত্যা/ আ’ লীগ নেতা কামালের রিমান্ডে ৭ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত রোববার (৯ জুন) শুনানি শেষে এই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার কামাল আহমেদ বাবু ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জানা যায়, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহর তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে কামাল আহমেদ বাবুকে আটক করা হয়। এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে।

জানা যায়, গত বুধবার রাতে বাবু ঝিনাইদহ সদর থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি করেন। জিডিতে তিনটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন। এর একটি আইফোন, একটি ভিভো। অঅর অন্যটি রেডমি মোবাইল ফোন। জিডি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আটক করা হয় বাবুকে। হত্যার পর শাহীনের সাথে দফায় দফায় কথা হয়েছে বাবুর। এমনকি এসএমএস লেনদেন হয়েছে । একসাথে বৈঠকেও বসেছেন। উঠে এসেছে শাহীনের সাথে বাবুর অর্থ লেনদেনের বিষয়ও। শিমুল ভূঁইয়া, বাবু এবং শাহীনের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, এমপি আনার চলতি বছরের ১২ মে কলকাতায় যান চিকিৎসার উদ্দেশে। এরপর সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। এর পরদিন দুপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বের হলেও তিনি যান কলকাতা নিউটাউনের একটি আলিশান ফ্ল্যাটে। সেইদিন ওই ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন এমপি আনার। মরদেহ টুকরা টুকরা করে ট্রলি ব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। ওইদিন ফ্ল্যাটেই ছিলেন আমানুল্লাহ সাইদ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, জিহাদ হাওলাদার,মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সালসহ অন্যরা।

হত্যার মূল পরিকল্পনা করেন এমপি আনারের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন। যিনি হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে আনার কলকাতা যাওয়ার আগেই দেশে ফিরে আসেন। হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ থেকে দিল্লি, কাঠমান্ডু, দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এমপি আনার হত্যা/ আ’ লীগ নেতা কামালের রিমান্ডে ৭ দিন

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত রোববার (৯ জুন) শুনানি শেষে এই রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তার কামাল আহমেদ বাবু ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। জানা যায়, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহর তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে কামাল আহমেদ বাবুকে আটক করা হয়। এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে।

জানা যায়, গত বুধবার রাতে বাবু ঝিনাইদহ সদর থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি করেন। জিডিতে তিনটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন। এর একটি আইফোন, একটি ভিভো। অঅর অন্যটি রেডমি মোবাইল ফোন। জিডি করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আটক করা হয় বাবুকে। হত্যার পর শাহীনের সাথে দফায় দফায় কথা হয়েছে বাবুর। এমনকি এসএমএস লেনদেন হয়েছে । একসাথে বৈঠকেও বসেছেন। উঠে এসেছে শাহীনের সাথে বাবুর অর্থ লেনদেনের বিষয়ও। শিমুল ভূঁইয়া, বাবু এবং শাহীনের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।

উল্লেখ্য, এমপি আনার চলতি বছরের ১২ মে কলকাতায় যান চিকিৎসার উদ্দেশে। এরপর সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। এর পরদিন দুপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বের হলেও তিনি যান কলকাতা নিউটাউনের একটি আলিশান ফ্ল্যাটে। সেইদিন ওই ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন এমপি আনার। মরদেহ টুকরা টুকরা করে ট্রলি ব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। ওইদিন ফ্ল্যাটেই ছিলেন আমানুল্লাহ সাইদ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, জিহাদ হাওলাদার,মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সালসহ অন্যরা।

হত্যার মূল পরিকল্পনা করেন এমপি আনারের বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন। যিনি হত্যার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে আনার কলকাতা যাওয়ার আগেই দেশে ফিরে আসেন। হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ থেকে দিল্লি, কাঠমান্ডু, দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান।