সাক্ষ্য হয়নি, অসুস্থ বাবুল আক্তার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করার পর সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তবে কারাগারে ফেরার জন্য তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অবশ্য তাকে প্রিজন ভ্যানেই ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা ছিলো।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, বাবুল আক্তার নাকি দুই-তিনদিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। এজন্য তিনি আদালতে আনার পর থেকে অসুস্থবোধ করছিলেন। তিনি নিজেই পুলিশকে বলেছেন, নাপা খাওয়ালে তিনি সুস্থবোধ করবেন। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষকে জানাই।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি নেছার আহমেদ জানান, বাবুল আক্তারকে সোমবার (১৩ মে) সকাল ১০টার দিকে মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাকে আদালত কক্ষে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত বেঞ্চে বসানো হয়। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাবুল আক্তার। তখন তাকে বেঞ্চে শোয়ানো হয়।
তিনি বলেন, সোমবার (১৩ মে) সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও তা হয়নি। আদালত আগামী ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।
জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তাতে বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলো- এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া এবং মো. খাইরুল ইসলাম কালু । আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লে।
আদালত একই বছরের ১০ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এরপর ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী দেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।