দেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর সনদ পেলো সিএসই
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ( সিএসই) দেশে ব্যবসা- বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের লক্ষ্যে প্রথম বারের মতো কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সনদ পেলো । যা চলতি বছরেই চালু করতে চায় সংস্থাটি । এর ফলে কমবে বাজারে আন্ডার ইনভয়ের্সিং ওভার ইনভয়ের্সিং, কমবে মধ্যস্থতা কারীদের দৌরত্ব এবং ক্রেতারা দেখতে পারবে পণ্যের সঠিক মূল্য ।
বুধবার( ২০ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমান’র জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু । এ সময় তিনি সিএসইর চেয়ারম্যানকে এই সনদ তুলে দেন । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সিডিবিএলর চেয়ারম্যান শেখ কবির আহমেদ ও বিএসইসির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত- উল- ইসলাম ।
এসময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ এটা আমার অনেক দিনের ব্যক্তিগত স্বপ্ন ছিল । সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম ভাই যখন দায়িত্ব নেন তখন তাকে আমি একটি কথাই বলেছিলাম, শুধু ইক্যুইটি দিয়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ফিজিবল করা সম্ভব না অন্ততপক্ষে সেবা হিসেবে হলেও আপনি সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনে কমোডিটির জন্য যান । আমি আশা করি যিনি সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের নেতৃত্বে আছেন তিনি উদার দৃষ্টিতে দেখলে একটি নতুন দিক উন্মোচিত হবে ।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে । আজকে আমরা প্রাইজ ডিসকভারি নিয়ে চিন্তা করছি, প্রাইজ যৌক্তিক মূল্য খুঁজছি । এই জায়গাটায় একটা বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ । বিশেষ করে আলু চিনি ও তেল দিয়ে এ বছরই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ শুরু করা যেতে পারে । প্রথমে নন ডেলিভারি পরবর্তীতে ডেলিভারি দিয়ে শুরু করতে পারি ।
টিটু বলেন, গোল্ড এক্সচেঞ্জ নিয়ে ২০১৩ সালে আমরা প্যান এশিয়ার সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একটি এমওইউ সই করেছিলাম । এটার মাধ্যমে আমরা গোল্ড এক্সচেঞ্জ করতে পারি, এটার সম্ভাবনা অনেক । আমি মনে করি বিশেষ করে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মার্চেন্ট ব্যাংক যারা ডাইভারসিফাইড পোর্টফোলিওর জন্য এটাও একটি ব্যালেন্স হিসেবে কাজ করবে । কারণ এখানে ফিউচার থাকবে ফরওয়ার্ড মার্কেট থাকবে, এখানে হেজিং করার সুযোগ থাকবে । সুতরাং অনেকগুলো পথ উন্মোচিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন ।
তিনি আরও বলেন, বিএসইসির অধীনে স্টেকহোল্ডাররা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে দেশ ও পুঁজিবাজার এগিয়ে যাবে ।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত- উল- ইসলাম বলেন, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ একটি মিসিং কম্পনেন্ট ছিল । যেটা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আছে । যারা ব্যবসা বাণিজ্য করেন যারা এক্সপোর্ট করেন ইমপোর্টকে গুরুত্ব দেয় তাদের জন্য এটা জরুরি । এটার মাধ্যমে এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর রাইট প্রাইস, মধ্যস্ততাকারীদের দূরত্ব কমা, আন্ডার ইনভয়েস, ওভার ইনভয়েসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে । এর মাধ্যমে এক্সপোর্ট ইমপোর্টে ডিসিপ্লিন তৈরি হবে ।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন কমোডিটি এক্সচেঞ্জ লাইসেন্সটা দেওয়ার পরই আমরা মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ইন্ডিয়ায় যারা এক্সপার্ট আছেন তাদের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করি যেহেতু তাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে । তারা আমাদের যে রুলস দিয়েছে সেটাও আমরা জমা দিয়েছি । বর্তমানে আমরা এই অবস্থায় এসেছি । আমাদের সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়ার প্রকিরমেন্টের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে । আশা করছি চলতি বছরের মধ্যেই বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কমোডিটি এক্সচেঞ্জের যাত্রা শুরু করতে পারবো ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শেখ কবির তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাচ্চাদের খুব ভালোবাসতেন, এজন্য তার জন্মদিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয় । বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো কি না তা আমার সন্দেহ ।
অনুষ্ঠানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৫ জনকে বিভিন্ন কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।