‘মেস বাড়ির’ ট্রেলার লঞ্চ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৫২ বার পড়া হয়েছে
ক্লিক স্টুডিওতে শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল চারটে সকল অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের উপস্থিতিতে, একটি ছোট্ট দৈর্ঘ্যের শর্ট ওয়েব ফিল্মের ট্রেলার লঞ্চ করল মেস বাড়ি।
মেস বাড়ির সম্পূর্ণ ঘটনাটি বেশিরভাগ দেখা যায় দুটি মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে, যাদের বৃদ্ধ বয়সে হয় বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে, নতুবা মেস বাড়িতে, তাদের দিনগুলি কাটাতে হয় কষ্ট জ্বালা যন্ত্রণাকে বুকে ধরেই শেষ দিন পর্যন্ত।
পরিচালক তাই এমন একটি কাহিনী তুলে ধরেছেন ,যেখানে প্রতিটি বাড়ির ছেলে মেয়েদের মনে যেন একটা অনুভূতি জাগে বাবা-মায়ের উপর। তারাও একদিন বুড়ো হবে। এইভাবে বুড়ো হবে, তাদের কেউ যেন ছেলে মেয়েরা এই ভাবে মেস বাড়িতে না তোলে।
এই মেস বাড়ির , কাহিনী হুমায়ূন আহমেদের, চিত্রনাট্য কাহিনী ও পরিচালনা, দীপান্বিতা সেনগুপ্ত, নিবেদনে অফ দা স্পেক ট্রাম।
অভিনয় করেছেন, অভিনেত্রী খেয়ালী ঘোষ দস্তিদার, অভিনেতা দেবদূত ঘোষ, সঞ্চালক ও অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু, এছাড়াও রয়েছেন ধীমান ভট্টাচার্য ,আবীর সেনগুপ্ত, শুভশ্রী সেনগুপ্ত।
গীতিকার দীপান্বিতা সেনগুপ্ত, সংগীত ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, সম্পাদক পবিত্র জানা, চিত্রগ্রহণ সৌরভ ব্যানার্জী ,গণমাধ্যম প্রচার ও মার্কেটিং রানা বসু ঠাকুর এছাড়াও অন্যান্যরা
সংক্ষিপ্ত কথার মধ্য দিয়ে পরিচালক ও অভিনেতা অভিনেত্রীরা জানালেন, মেস বাড়িতে কেন উঠতে হয়, আমাদের সমাজে এই ধরনের অনেক ঘটনায় চোখে পড়ে, কেউ বৃদ্ধ বয়সে স্বামীকে হারিয়ে, সঙ্গীহীন হয়ে পড়ে, এক সময়ে ছেলে বা মেয়েরা মাকে হয় বৃদ্ধাশ্রমে নচেৎ এই মেস বাড়িতে রেখে আসেন। একবারও ভাবেন না এরাই একদিন আমাদের পায়ের মাটি শক্ত করেছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় বৃদ্ধ বয়সে এই মানুষগুলির কথা কেউ ভাবে না, তাদের মনে সকল কষ্ট থাকলেও, মেস বাড়িতেই দিন কাটাতে হয়। সব থেকেও তাদের কাছে ওই মুহূর্তে কিছুই নাই, শেষ দিন গুলি যেন মেজ বারিতে সবার সাথে কাটিয়ে যেতে পারেন একটু আনন্দ ও একটু গল্পের মধ্য দিয়ে।
পরিচালক বারবার চেষ্টা করেছেন এই ছবির মধ্য দিয়ে, এখনকার ছেলে মেয়েদের বার্তা দিতে, আজ যারা তোমাদের মানুষ করলো, পায়ের মাটি শক্ত করল শেষ জীবনটা তাদের কাটাতে হচ্ছে এইভাবে মেস বাড়িতে, তোমরাও একদিন বৃদ্ধ হবে ,তোমাদের প্রজন্ম কি করবে, কী শিখবে, তাই ভেবে দেখুন।
আপনারা এই ছবিটি দেখুন ক্লিক ওটিটি প্লাটফর্মে, নিশ্চয়ই ভালো লাগবে এবং ছবিটি দেখে আপনাদের চিন্তা ভাবনাও হয়তো একটু বদলাতে পারে, বাবা-মা ঠাকুমা দিদিমাদের যেনো মেশ বাড়িতে না কাটাতে হয়।