ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্তুর আর তবলায় মুগ্ধ ঢাকার শ্রোতারা

বিনোদন প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ২৩৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত তারযুক্ত এক জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্রের নাম সন্তুর। এটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের দেশজ বাদ্যযন্ত্র হলেও এর আগমন মূলত পার্শিয়া থেকে। সন্তুরের বাজনা শুনলেই মনে হয় যেন কোনো পাহাড়ি নদীর স্রোত বয়ে চলেছে। ভারতে এই যন্ত্রের বেশ প্রচলন থাকলেও বাংলাদেশে সন্তুর চর্চা খুব কম সংখ্যক। তাই দেশের শ্রোতাদের কাছ থেকে সন্তুরের বাজনা শোনার সুযোগ খুব কমই হয়। তবে এবার ঢাকার শ্রোতাদের সেই অনন্য সুযোগ এনে দিল রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট।

প্রতিষ্ঠান দুটির যৌথ আয়োজনে শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সন্তুর আর তবলার সঙ্গতের এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। যেখানে সন্তুর এবং তবলার সঙ্গত পরিবেশন করেন ভারত থেকে আগত দুই তরুণ গুনী শিল্পী অন্যান্যা বাগ এবং রাহুল চ্যাটার্জী।

অনুষ্ঠানে আগত শ্রোতারা এদিন অন্যন্যা বাগের সন্তুর এবং রাহুল চ্যাটার্জীর তবলা সঙ্গতে ডুবে যান সুরের অমোঘ জাদুতে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো তারা ভেসে যান এক অন্য জগতে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহীন সামাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটির উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি সবসময় চায় দেশের সঙ্গীত চর্চার উন্নয়ন। সেই ধারবাহিকতায় দেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চার সঙ্গে জড়িতদের উৎসাহিত করা এবং দুই দেশের শিল্পীদের মধ্যে ভাব ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য আমাদের এই আয়োজন। সন্তুর খুব কম মানুষ চর্চা করে, তাদের মধ্যে নারী শিল্পীদের সংখ্যা আরও কম। যে কয়েকজন শিল্পী উপমহাদেশে বর্তমানে সন্তুর চর্চা করছেন অন্যন্যা বাগ তাদের মধ্যে অন্যতম। রাহুল চ্যাটার্জী ভারতবর্ষের একট উজ্জ্বলতম নক্ষত্র এবং বিশেষ বাদনশৈলীর জন্য পরিচিত। অনন্যা এবং রাহুলের পরিবেশনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। এই মুগ্ধতা আমাদের মনে অনেক দিন গেঁথে থাকবে।”

এমন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য “রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। ভবিষ্যতেও সঙ্গীত চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য যেকোনো সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন তিনি।

জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী শাহীন সামাদ সন্তুর এবং তবলার সঙ্গতে মুগ্ধতা প্রকাশ করে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটির প্রশংসা করেন।”

প্রসঙ্গত, অন্যন্যা বাগের বাজানোর সন্তুর একটি শততন্ত্রী বীণা; যাতে একশত তার রয়েছে। যেহেতু ঝর্নার শব্দ থেকে এই যন্ত্রের কল্পনা করা হয় তাই এই যন্ত্রটিকে প্রাকৃতিক যন্ত্র বলা হয়। হাতেগোণা যে কয়েকজন নারী শিল্পী সারাবিশ্বে এই যন্ত্রটি বাজান তার মধ্যে অনন্যা বাগ একজন। অন্যদিকে, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে এবং লখনউ ঘরানার বিশেষ বাদন শৈলীর জন্য রাহুল চ্যাটার্জী ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সন্তুর আর তবলায় মুগ্ধ ঢাকার শ্রোতারা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৪৯:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত তারযুক্ত এক জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্রের নাম সন্তুর। এটি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের দেশজ বাদ্যযন্ত্র হলেও এর আগমন মূলত পার্শিয়া থেকে। সন্তুরের বাজনা শুনলেই মনে হয় যেন কোনো পাহাড়ি নদীর স্রোত বয়ে চলেছে। ভারতে এই যন্ত্রের বেশ প্রচলন থাকলেও বাংলাদেশে সন্তুর চর্চা খুব কম সংখ্যক। তাই দেশের শ্রোতাদের কাছ থেকে সন্তুরের বাজনা শোনার সুযোগ খুব কমই হয়। তবে এবার ঢাকার শ্রোতাদের সেই অনন্য সুযোগ এনে দিল রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট।

প্রতিষ্ঠান দুটির যৌথ আয়োজনে শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সন্তুর আর তবলার সঙ্গতের এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান। যেখানে সন্তুর এবং তবলার সঙ্গত পরিবেশন করেন ভারত থেকে আগত দুই তরুণ গুনী শিল্পী অন্যান্যা বাগ এবং রাহুল চ্যাটার্জী।

অনুষ্ঠানে আগত শ্রোতারা এদিন অন্যন্যা বাগের সন্তুর এবং রাহুল চ্যাটার্জীর তবলা সঙ্গতে ডুবে যান সুরের অমোঘ জাদুতে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো তারা ভেসে যান এক অন্য জগতে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহীন সামাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটির উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি সবসময় চায় দেশের সঙ্গীত চর্চার উন্নয়ন। সেই ধারবাহিকতায় দেশের শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চার সঙ্গে জড়িতদের উৎসাহিত করা এবং দুই দেশের শিল্পীদের মধ্যে ভাব ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য আমাদের এই আয়োজন। সন্তুর খুব কম মানুষ চর্চা করে, তাদের মধ্যে নারী শিল্পীদের সংখ্যা আরও কম। যে কয়েকজন শিল্পী উপমহাদেশে বর্তমানে সন্তুর চর্চা করছেন অন্যন্যা বাগ তাদের মধ্যে অন্যতম। রাহুল চ্যাটার্জী ভারতবর্ষের একট উজ্জ্বলতম নক্ষত্র এবং বিশেষ বাদনশৈলীর জন্য পরিচিত। অনন্যা এবং রাহুলের পরিবেশনা আমাদের মুগ্ধ করেছে। এই মুগ্ধতা আমাদের মনে অনেক দিন গেঁথে থাকবে।”

এমন আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য “রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। ভবিষ্যতেও সঙ্গীত চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য যেকোনো সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন তিনি।

জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী শাহীন সামাদ সন্তুর এবং তবলার সঙ্গতে মুগ্ধতা প্রকাশ করে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য রেওয়াজ পারর্ফমিং অ্যান্ড আর্টস সোসাইটির প্রশংসা করেন।”

প্রসঙ্গত, অন্যন্যা বাগের বাজানোর সন্তুর একটি শততন্ত্রী বীণা; যাতে একশত তার রয়েছে। যেহেতু ঝর্নার শব্দ থেকে এই যন্ত্রের কল্পনা করা হয় তাই এই যন্ত্রটিকে প্রাকৃতিক যন্ত্র বলা হয়। হাতেগোণা যে কয়েকজন নারী শিল্পী সারাবিশ্বে এই যন্ত্রটি বাজান তার মধ্যে অনন্যা বাগ একজন। অন্যদিকে, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে এবং লখনউ ঘরানার বিশেষ বাদন শৈলীর জন্য রাহুল চ্যাটার্জী ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়।