নিবন্ধন ফিরে পেতে আদালতেই আস্থা জামায়াতের

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে
২০১৩ সালে আদালতের রায়ে নিবন্ধন হারায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এরপর থেকে দলের নিবন্ধন আটকে আছে আপিল বিভাগে। যদিও দলের নেতারা বলছেন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হারানো নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তারা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচন অংশ নেয়। এরপর ২০০৯ সালে রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে। ২০১৩ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে হাইকোর্টের রায়ে নিবন্ধন হারায় দলটি। এর মাজখানে কেটে গেছে ১৫ বছর।
২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নতুন করে নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদিও রায়ের পরই আদালতে লিফট টু আপিল করে রেখেছিল দলটি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সবাই জানে অন্যায়ভাবে আমাদের নিবন্ধনটা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আইনগতভাবে আমরা নিবন্ধিত ছিলাম এবং কোন একটা রাজনৈতিক দল একটা মামলা করল। সে মামলাকে ইস্যু করে নিয়ে আদালতে জিনিসটাকে তুলে রুল টুল দিয়ে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তৎকালীন ফ্যাসিবাদী সরকার অন্যায়ভাবে একটা নিবন্ধিত দলের নিবন্ধনকে তারা কেড়ে নিল। বিচারের উন্নত যে মান, স্ট্যান্ডার্ড, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড এটা মেনটেইন করে যদি বিচার হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাইলে আমরা সুবিচার পাবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইনের প্রতি সবসময় শ্রদ্ধাশীল। আদালতের প্রতি আমরা আস্থাশীল। আমরা মনে করি আদালত আমাদের এই মামলার প্রতি সুবিচার করবেন, অন্য কোন পন্থা আমাদের অবলম্বন করতে হবে না বলেই আমরা মনে করি। আমরা এটার উপরই থাকতে চাই। নির্বাচন যখনই হোক তার দল ৩০০ আসনেই প্রস্তুত বলেও জানান গোলাম পরওয়ার।