ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ৫ আহত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফে পালিত হচ্ছে পবিত্র ফাতেহা শরীফ ফুলবাড়ীতে বেতদিঘী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে মাধবপুরে চোর সন্দেহে তিন যুবক আটক   ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সুপ্রীম কোর্ট বারের সভাপতি  বাসেত ও সম্পাদক বায়েজীদ ছাত্রশিবিরের মাসিক সেক্রেটারিয়েট বৈঠক অনুষ্ঠিত কালিহাতীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেস্কটপ কম্পিউটার ও প্রজেক্টর বিতরণ ‘সরকার ক্ষমতায় ছাড়তে চাইছে না’ অন্তবর্তী সরকারের ঘোষিত সময়েই নির্বাচন দিতে হবে হারিয়ে যাওয়া ভাষা পুনরুদ্ধার করা হবে

প্রকাশিত খবরের সংশোধনী না দিলে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় দৈনিক ‌‘প্রথম আলো’তে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এক যৌথ প্রতিবাদবার্তায় এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে’–এই শিরোনামে দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে ঈদের আগে চাঁদা না পেয়ে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে সড়কে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে ভুক্তভোগী তাঁর বক্তব্যে অভিযুক্তদের ছাত্রশিবির কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ না করে একপাক্ষিকভাবে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।

আমরা মনে করি, প্রথম আলো-এর মতো একটি প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম এ ধরনের একপাক্ষিক, যাচাইবিহীন এবং মনগড়া প্রতিবেদন ‘দুর্ঘটনাবশত’ করেছে—এমনটি বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। বরং এটি স্পষ্ট যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কর্মকাণ্ড এবং ইতিবাচক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। একই সাথে, প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট পক্ষ বা গোষ্ঠীর প্ররোচনায় এই ধরনের মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশের সুযোগ দিয়েছে। আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের এই দায়িত্বহীন, অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ছাড়াও, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, উক্ত ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।’

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইতোপূর্বে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরকে নিয়ে একাধিক মনগড়া ও হাস্যকর শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেমন—’শিবিরের কমিটিতে পূজা চেরী, যা বললেন নায়িকা!’, ‘২৬ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন শিবির’ নাছির’। এ ছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্র ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির কাছে একটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ সংগঠনের অর্থায়নের সুনির্দিষ্ট পন্থা তার গঠনতন্ত্রে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। জনশক্তি ও শুভানুধ্যায়ীদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদানে ছাত্রশিবিরের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে একটি অসাধু মহল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে এবং পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। উক্ত প্রতিবেদন তারই অংশ বলে আমরা মনে করি।

আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকতার পেশাগত শিষ্টাচার মেনে অবিলম্বে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রত্যাহার, দুঃখ প্রকাশ এবং সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাই। অন্যথায় আমরা আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রকাশিত খবরের সংশোধনী না দিলে আইনি পদক্ষেপ নেবে শিবির

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৭:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

জাতীয় দৈনিক ‌‘প্রথম আলো’তে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এক যৌথ প্রতিবাদবার্তায় এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘চাঁদা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে’–এই শিরোনামে দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনে নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে ঈদের আগে চাঁদা না পেয়ে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে সড়কে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। যেখানে ভুক্তভোগী তাঁর বক্তব্যে অভিযুক্তদের ছাত্রশিবির কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ না করে একপাক্ষিকভাবে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।

আমরা মনে করি, প্রথম আলো-এর মতো একটি প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম এ ধরনের একপাক্ষিক, যাচাইবিহীন এবং মনগড়া প্রতিবেদন ‘দুর্ঘটনাবশত’ করেছে—এমনটি বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। বরং এটি স্পষ্ট যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কর্মকাণ্ড এবং ইতিবাচক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। একই সাথে, প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট পক্ষ বা গোষ্ঠীর প্ররোচনায় এই ধরনের মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশের সুযোগ দিয়েছে। আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের এই দায়িত্বহীন, অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ছাড়াও, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, উক্ত ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।’

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ইতোপূর্বে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরকে নিয়ে একাধিক মনগড়া ও হাস্যকর শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেমন—’শিবিরের কমিটিতে পূজা চেরী, যা বললেন নায়িকা!’, ‘২৬ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন শিবির’ নাছির’। এ ছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্র ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির কাছে একটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এ সংগঠনের অর্থায়নের সুনির্দিষ্ট পন্থা তার গঠনতন্ত্রে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। জনশক্তি ও শুভানুধ্যায়ীদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদানে ছাত্রশিবিরের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে একটি অসাধু মহল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে এবং পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। উক্ত প্রতিবেদন তারই অংশ বলে আমরা মনে করি।

আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকতার পেশাগত শিষ্টাচার মেনে অবিলম্বে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রত্যাহার, দুঃখ প্রকাশ এবং সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাই। অন্যথায় আমরা আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হব।’