আতঙ্ক কাটছেই না, ফের ভূমিকম্পে তছনছ মিয়ানমার

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:০৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
আফটার শকের ধাক্কায় ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটছেই না মিয়ানমারে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়েছে দেশটি।
শনিবার ফের কেঁপে উঠল বিধ্বস্ত অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এদিনের কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। এর ফলে শুক্রবারের কম্পনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি শনিবারও ভেঙে পড়ছে বলে জানা গেছে। আফটার শকের জেরে উদ্ধারকাজ এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছানোও কঠিন হচ্ছে। এদিকে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড মৃত্যু হয়েছে ১৬০০-এর বেশি মানুষের। আহত প্রায় ৩০০০ জন।
এদিকে, ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারের পাশে দাঁড়াতে ‘অপরেশন ব্রহ্ম’ ঘোষণা করেছে ভারত। ইতিমধ্যে বায়ুসেনার বিমানে ১৫ টন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে সে দেশে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হাইজিন কিটে, জেনারেটর এবং জরুরি কিছু ওষুধ। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের ইয়াংগানে পৌঁছে গিয়েছে ওই ত্রাণ সামগ্রী। মিয়ানমারের প্রতি ভারতের বন্ধুত্বের হার বাড়ানোর কথা জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বলেন, “ভারত প্রথম ধাপের মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে মিয়ানমারে।”
শুক্রবার ১১টা ৫০ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি হয় মিয়ানমারে। যার উৎপত্তিস্থল সে দেশের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। সেই সময় কম্পন অনুভূত হয় বাংলাদেশেসহ একাধিক জায়গায়। এর প্রভাব পড়ে ভারতেও। কেঁপে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলা ও সিকিমও।
এছাড়া ভূমিকম্পের ব্যাপক প্রভাব পড়ে মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। ভেঙে পড়ে একের পর এক বহুতল, ব্রিজ। যত সময় যায় শিরদাঁড়ায় কাঁপন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ভূমিকম্পের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে সোশাল মিডিয়ায়। ধীরে ধীরে জানা যায় প্রাণহানির সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।