রামপালে ‘পোনা ছাড়া’ দলের আবির্ভাব, বিচার দাবীতে বিক্ষোভ

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে
রামপালে জাতীয়তাবাদী “পোনা ছাড়া দল” এর আবির্ভাব ঘটেছে। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের একটি অসাধুচক্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নাম ব্যবহার করে মাছের পোনা অবমুক্ত করে বিভিন্ন মৎস্য খামারের দখল নিয়েছে। মৎস্য ঘের দখল থেকে বাদ যাচ্ছে না বিএনপি নেতাকর্মীদের মৎস্য খামারও। আর সে কারণে অসাধু ওই চক্রটিকে জাতীয়তাবাদী পোনা ছাড়া দল হিসেবে আখ্যায়িত করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাঁশতলি এলাকায়। এদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে থানায় একাধিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিকার না পেয়ে রবিবার (১৬ মার্চ ) বেলা ১১ টায় গিলাতলা বাজারে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। মানববন্ধনে উপস্থিত সকলে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ঘের দখলকারী “জাতীয়তাবাদী পোনা ছাড়া দল” এর সদস্য মুক্ত সরদার, মনির তালুকদার, ফিরোজ প্রফেসর, ইসরাফিল শেখ, তুহিন শেখ, সাইফুল ইসলাম সহ ১০-১২ জন দুষ্কৃতকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারপূর্বক দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইতিমধ্যে ঘের দখল করে দল বেঁধে মাছ ছাড়ার একটি ভিডিও পোস্ট হয়েছে । এভাবে তারা বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে বাঁশতলি এলাকার আড়ো খোলা ঘের, বন্দী বান্দা মৎস্য খামার, নল বুনিয়া মৎস্য খামার, বড় খাল কুলসহ কয়েকটি মৎস্য খামার দখল করে চিংড়ি মাছের পোনা অবমুক্ত করেছে। এরা আওয়ামী লীগের দোসর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদের কাছ থেকে চুক্তিপত্র নিয়েছেন বলে মিথ্যাচার করছে। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে স্থানীয়রা। আজকের এই মানববন্ধনের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে “জাতীয়তাবাদী পোনা ছাড়া দল” এর সকল সদস্যকে আজীবন বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান তারা ।
এছাড়া স্থানীয় বিএনপি নেতা এস, এম আব্দুল্লাহ এর নামে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাঁশতলী ইউনিয়নের আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এস, এম আব্দুল্লাহ, ফকির আবু জাফর, আহসান তারেক, শেখ আল মামুন, শেখ গোলাম হোসেন, বাকী বিল্লাহ, শেখ কামরুল ইসলাম, শেখ আরিফ হোসেন, অহিদুল ইসলাম, শেখ মুজিবুর রহমান, হারুন রাজাসহ ৩ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী, জমির মালিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।