ঝিকরগাছায় গরীবের চাল দেওয়া বন্ধ করলেন বিএনপি নেতারা

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে
যশোরের ঝিকরগাছায় চাঁদা না দেওয়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার ইমদাদুল হককে মারধর করে কর্মসূচির চাল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা।
রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের সেন্ট লুইস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় রবিবার সারা দিন গরিব-অসহায় মানুষের মাঝে চাল বিক্রি করতে পারেননি ডিলার।
ডিলার ইমদাদুল হক এই প্রতিনিধিকে বলেন, ‘উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মিলনসহ বেশ কয়েকজন নেতা সকালে চাল বিক্রির ওই স্থানে আসেন। তারা ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দিতে অপারগতা জানালে তারা আমাকে গালিগালাচ করে চড়ায়-থাপ্পড় দেন। ঠেকাতে গেলে আমার বাবা ইব্রাহিম বিশ্বাসকে ধাক্কা মারেন। চাঁদা না পেয়ে চাল বিক্রি করতে দেন না তারা।’
ইমদাদুল হক আরও বলেন, ‘১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আমি ১৬ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করেছি। ইতোপূর্বে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন, আজ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। তা না পেয়ে চাল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে বিষয়টি এখনও থানা পুলিশকে জানাইনি। আসলে আমি বাড়তি ঝামেলায় জড়াতে চাইছি না। চালগুলো বিক্রি করতে হবে তো।’
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ট্যাগ অফিসার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চাঁদার জন্য চাল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ায় ডিলার সারা দিন কোনও চাল বিক্রি করতে পারেননি।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মিলন ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই সময় আমি বাজারে যাচ্ছিলাম। সেখানে গিয়েছি দেখি চাল বিক্রি নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। তারপর আমি আমার কাজে চলে যাই। আমি কোনও চাঁদা চাইনি।’
আপনার নামে অভিযোগ রয়েছে জানালে তিনি বলেন, ‘আমি ডিলার ইমদাদুল হককে জিজ্ঞেস করবো।’
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুণ বলেন, ‘এ ধরনের কোনও অভিযোগ কেউ আমাকে দেয়নি। আমি একটা মিটিংয়ে আছি।’
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এমন কোনও অভিযোগ কেউ থানায় এখনও দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।