বইমেলায় ‘জুলাই চত্বর’

- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:২১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে আজ শনিবার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন। বইমেলায় এবার থাকছে জুলাই চত্বর। যেখানে ফুটিয়ে তোলা হবে গণ-অভ্যুত্থানের চিত্র। এছাড়া এবারের বইমেলা হবে পলিথিনমুক্ত।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সরেজমিন বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, ধীরে ধীরে সেজে উঠছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ। হাতুড়ি-পেরেক, আর রং-তুলি নিয়ে স্টল সাজানোর কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। বাড়ানো হয়েছে স্টলসংখ্যা। মানসম্পন্ন বইয়ের দিকে দেয়া হচ্ছে গুরুত্ব।
বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বাণিজ্যিক হবে এবারের মেলা–এমনটাই প্রত্যাশা প্রকাশকদের। এদিকে নাশকতার শঙ্কা না থাকলেও মেলার নিরাপত্তা ঘিরে সতর্ক পুলিশ। শুক্রবার সকালে মেলার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে আসেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি জানান, চব্বিশ ঘণ্টাই বিশেষ নজরদারির আওতায় থাকবে পুরো এলাকা।
ইতোমধ্যে বাঙালি, শোভা প্রকাশ, অন্বয় প্রকাশ, খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোম্পানি, পড়ুয়া, তৃপ্তি প্রকাশ কুঠি, রোদেলা, বাঙ্গালা গবেষণা, আলেয়া বুক ডিপো, ইন্তামিন প্রকাশ, এপিপিএল, অক্ষর প্রকাশনী, শৈলী প্রকাশনী, তৃণলতা প্রকাশ, কাকলী, সেবা প্রকাশনী, চন্দ্রবতী একাডেমি, বাঁধন পাবলিবেশন্স, ছায়াবীথি, ইমন প্রকাশনী, প্রতিভা প্রকাশ, হাওলাদার প্রকাশনী স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। মহান ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিতে আয়োজিত এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। এবারের বইমেলায় ৭০৮টি প্রকাশনাপ্রতিষ্ঠান অংশ নিতে যাচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে একুশে বইমেলা ২০২৫ পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সরকার আমিন জানান, এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬০৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। গত বছরের মতো এবারও ৩৭টি প্যাভিলিয়ন থাকছে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগ স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।
গত বছর শিশুচত্বরে ছিল ৬৮টি প্রতিষ্ঠান, এবার তা ৭৪টি। বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। মেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি ও পুনর্মুদ্রিত ৪১টি বই। বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন এবং শিশু-কিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য একটি স্টল থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতা থাকছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা এবারও থাকবে। প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
বইমেলার সময়সূচি : ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।